জাতীয়

আজ শুধু দেখা, কাল থেকে বেচাকেনা

রাজধানীর সব কোরবানির হাটে অনবরত আসছে পশুবাহী ট্রাক। সেই সঙ্গে প্রতিনিয়ত বাড়ছে প্রতিটি হাটের আকার। কিন্তু বেচাকেনা নেই তেমন। এক শ্রেণির গ্রাহক বা গরুর হাটের আশপাশে যারা বাস করেন তারা দু’দিন ধরে সেখানে যাচ্ছেন, পশু দেখছেন, দরদাম করছেন, কিন্তু কিনছেন না। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সিডিউল অনুযায়ী আজ (রোববার) থেকে হাট শুরু হয়ে ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত চলবে।

Advertisement

বড় ছেলে এবং নাতিকে নিয়ে মোহাম্মদপুরের বসিলা পুলিশ লাইন বাজারে আসা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাসা পাশেই, তাই নাতিকে গরুর হাট দেখাতে এনেছি। পাশাপাশি দরদামও করছি। আজ কিনতে না পারলেও অসুবিধা নেই। সোমবার বোঝা যাবে হাটের এবং দামের গতি প্রকৃতি। ওইদিন অথবা তার পরেরদিন যাচাই বাছাই করে গরু কিনবো।

একই হাটে দুই ছেলেকে নিয়ে এসেছেন মোহাম্মদ শাজাহান শ্যামলী থেকে। তিনিও শুধু গরু দেখছেন। তিনি বলেন, গরুর দাম অনেক বেশি চাচ্ছে, বাজার দেখেশুনে প্রয়োজনে শেষ দিনে কিনবো।

এরকম আরও অনেকে পশুর হাটে আসছেন, গরু দেখছেন, দরদাম যাচাই বাছাই করছেন। তারা পরে কিনবেন। এছাড়া ৪/৫ জনের গ্রুপ করে অনেক কিশোর গরু দেখতে এসেছে বাজারে। তারা ঘুরছে পশু দেখছে, দরদাম শুনছে। কথা হয় সোহাগ ও বাঁধন নামে দুই বন্ধুর সঙ্গে। বাঁধন জানায়, তারা গরু দেখতে এসেছে। বাবা যেদিন বাজারে আসবে সেদিন আবারও আসবে। কোন গরুর কত দাম করেছে তা বাবাকে জানাবে। একই কথা জানায় সোহাগও।

Advertisement

ঝিনাইদহের গরু বিক্রেতা মো. আজিজুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, বেচাকেনা এখনও শুরু হয়নি, হয়তো কাল বা পরশু পুরাদমে শুরু হবে। আমি ৫টি গরু এনেছি। শনিবার সকালে একটি গরু আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি করেছি।

নাটোর থেকে হাজারীবাগ হাটে আসা মজিদ দেওয়ান জাগো নিউজকে বলেন, ‘তিনদিন হলো হাটে এসেছি ৮টি গরু নিয়ে, এখন পর্যন্ত একটি গরুও বিক্রি করতে পারিনি। মূল বেচাকেনা শুরু হবে রোববার বিকেল থেকে। তিন দিনেই সব শেষ হয়ে যাবে। গত ১০ বছর হলো ঢাকায় ব্যবসা করছি। শুধু ২ বছর লোকসান দিয়েছি।’

হাজারীবাগ হাটের ইজারাদারের ছোট ভাই মো. জুবায়ের হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, বেচাকেনা এখনও শুরু হয়নি। রোববার বিকেল থেকে মূল হাট শুরু হবে। এ হাটে বেপারীদের থাকা খাওয়া, পানি, গোসল, গরুর খাবারসহ পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা আছে।

তিনি আরও বলেন, প্রায় আড়াই কিলোমিটার আয়তনের এ হাটে অনেক সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। জালটাকা সনাক্তের মেশিন বসানো হয়েছে। এছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিজেদের উদ্যোগে চিকিৎসক নিয়ে আসা হয়েছে। গরুর প্রাথমিক চিকিৎসার টাকা হাট কর্তৃপক্ষ বহন করছে।

Advertisement

এফএইচএস/এমএমজেড/এমএস