পবিত্র হজ দরজায় কড়া নাড়ছে। সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের পদচারণায় মুখরিত মক্কা নগরী। ধবধবে ফর্সা, কুচকুচে কালো, বিশাল দেহী, লম্বা, বেটে, থেঁতলানো নাক, লিকলিকে গড়নেরসহ মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে শহরজুড়ে। কারও সঙ্গে কারও চেহারার মিল নেই। একেকজনের ভাষা একেক রকম। কিস্তু আজান দিলে সবাই দাঁড়িয়ে পড়েন এক কাতারে।
Advertisement
তবে সৌদিতে আগত বিশ্বের সব দেশের হাজিদের মধ্যে আফ্রিকা মহাদেশের হাজিদের সবাই সমীহ করে। কাবা শরিফ তাওয়াফ, হাজরে আসওয়াদে চুম্বন, জমজমের পানি, ফুটপাতে পণ্য বিক্রয় ও খাবার সংগ্রহ সর্বত্রই তাদের দাপুটে উপস্থিতি।
গত এক সপ্তহেরও বেশি সময় সরেজমিনে দেখা গেছে, আফ্রিকা মহাদেশের নাগরিকরা সকলেই দল বেঁধে চলাচল করে। কাবা শরিফ তাওয়াফ করার সময় ওদের কেউ কেউ উচ্চস্বরে অনেকটা গানের সুরে তালবিয়া ও সুরা পাঠ করেন। হাজরে আসওয়াদ পাথরে চুমো খেতে এগিয়ে যাওয়ার সময় নারী ও পুরুষ নির্বিশেষে রীতিমতো শক্তি প্রয়োগ করে সামনে আগায়। ওদের ধাক্কায় অপেক্ষাকৃত বেটেদের দূরে ছিঁটকে পড়তে দেখা যায়।
জমজমের পানি সংগ্রহের সময় প্রায় প্রতিটি লাইনে তাদের ছোটবড় বোতল ও কনটেইনার হাতে দেখা যায়। ওই অঞ্চলের কাউকে কাউকে যেমন বড় বড় হোটেলের বোর্ডার হিসেবে দেখা গেছে তেমনি অনেককে রাস্তাতেও ঘুমাতে দেখা গেছে।
Advertisement
আফ্রিকান হাজিরা বিনামূল্যের খাবার সংগ্রহেও এগিয়ে। তারা সংঘবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার সংগ্রহ করে। টুকটাক কেনাকাটায়ও বিশেষ করে সস্তায় পণ্য কেনায় অন্য দেশের নাগরিকদের চেয়ে এগিয়ে। আফ্রিকান নারী হাজিরা মাথায় বিশেষ পুঁটলি বানিয়ে ভারী বোঝা নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করেন।
এমইউ/বিএ/এমএস