ভারতীয় বাংলা সিরিয়ালগুলোর জনপ্রিয়তা নতুন করে বলার কিছু নেই। ওপার তো বটেই, এপার বাংলাতেও তুমুল জনপ্রিয় ওইসব সিরিয়ালগুলো। সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা ভাটা পড়লেও একটা সময় এদেশের অধিকাংশ টিভি দর্শকই ‘আজব-গুজব’ গল্পের সিরিয়ালগুলোতেই চোখ ডুবিয়ে রাখতেন।
Advertisement
এদিকে নানা দাবি নিয়ে সিরিয়ালের তারকা ও সাধারণ অভিনয়শিল্পীদের ধর্মঘট চলছে টালিগঞ্জে। সেই ধর্মঘটের মুখে হুমকিতে পড়ে গেছে নাটকগুলো। কলকাতার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার, ১৮ আগস্ট সকালে টলিপাড়ার বিভিন্ন স্টুডিতে অভিনেতারা হাজির হলেও কাজে যোগ দেননি।
এরই মধ্যে প্রকট হয়ে উঠেছে আর্টিস্ট ফোরামের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নেমেছেন বুম্বাদা খ্যাত অভিনেতা প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের হাতে ধারাবাহিকের কোনো অসম্প্রচারিত পর্ব মজুত নেই। ফলে অবিলম্বে শুটিং চালু না হলে সোমবার থেকে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বহু ধারাবাহিকের সম্প্রচার।
জানা গেল, অভিনেতাদের সংগঠনের দাবি মেনে নিতেই ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছিল কয়েকদিন আগে। সেই চুক্তি মেনে জনপ্রিয় অভিনেতাদের বকেয়া মেটানো হলেও অপেক্ষাকৃত কমপরিচিত অভিনেতাদের টাকা এখনো মেটায়নি বেশ কয়েকজন প্রযোজক। অভিনেতাদের পাওনা বকেয়া রেখেছে এমন প্রযোজনা সংস্থার তালিকায় রয়েছে ব্ল্যাক ম্যাজিক ও ভেঙ্কটেশের নামও। তাছাড়া সেদিনের চুক্তির কোনো লিখিত দলিলও অভিনেতাদের সংগঠনকে দেওয়া হয়নি। তাই ধর্মঘট চলছেই।
Advertisement
অভিনেতাদের দাবি, মাসখানেক আগে টালিগঞ্জের প্রযোজকদের সঙ্গে অভিনেতা ও কলাকুশলীদের একটি চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুসারে কলাকুশলীদের বেতন বাড়ে ৪০ শতাংশ। তাদের কাজের সময় সর্বোচ্চ ১২ ঘণ্টা বেঁধে দেওয়া হয়। অভিনেতাদের কাজের সময় বেঁধে দেওয়া হয় ১০ ঘণ্টা। তাছাড়া অবিলম্বে অভিনেতাদের বকেয়া বেতন মেটানো হবে বলে জানান প্রযোজকরা।
এদিকে ধারণা করা হচ্ছে, ধর্মঘট চলতে থাকলে আগামী সোমবার থেকে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিক।
এলএ/এমএস
Advertisement