ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার গভীর রাতে পিরোজপুর সদর উপজেলার টোনা ইউনিয়নের চলিশা গ্রামে পারিবারিক শ্মশানে তাঁর দাহ হয়।রাত সোয়া ১০টার দিকে পুলিশে পাহারায় ঢাকা থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে নীলাদ্রির মরদেহ তাঁর গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়।এ সময় তার মরদেহ দেখতে বাড়িতে শত শত মানুষ ভিড় জমায়। আর শোকার্ত স্বজনদের আহাজারিতে চারপাশের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামনসহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এরপর রাত দেড়টার দিকে নিজ বাড়ির পারিবারিক শ্মশানঘাটে শেষ কৃত্য সম্পন্ন হয়। আহাজারি মধ্যেই তার মা অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে নিরাপত্তা দিতে এই সরকার ব্যর্থ হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ঈদের পরে বাড়িতে এসেছিল নিলয়। তখন মা তাকে ঢাকায় যেতে নিষেধ করেছিল। তাকে বাড়িতে থেকে বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতেও বলেছিল। কিন্তু নিলয় ঢাকা চলে যায়।নিলয়ের একমাত্র বোন জয়শ্রী চট্টোপাধ্যায় গোপা বলেন, নিলয় চলিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শুরু করেন। তেজদাসকাঠি উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি এবং পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন।টোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস সোবহান খান ও চলিশার ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জাকির হোসেন তালুকদার জানান, নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয় (নান্টু) জন্মস্থান পিরোজপুর সদর উপজেলার ৫নং টোনা ইউনিয়নের চলিশা তার নিজ গ্রাম। তিনি মেধাবী ছাত্র ছিলেন। এলাকায় তার কোনো শত্রু ছিল না বলেও ইউপি সদস্য জাকির জানান। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পূর্ব গোড়ানের ভাড়া বাসায় ঢুকে চার দুর্বৃত্ত নীলাদ্রিকে কুপিয়ে হত্যা করে।হাসান মামুন/এআরএ/আরআইপি
Advertisement