জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে গেলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে যাবে জাতীয় পার্টি। আর বিএনপি না গেলে ৩শ আসনে এককভাবে নির্বাচন করবে জাতীয় পার্টি।
Advertisement
পবিত্র ঈদুল-আজহা উদযাপন ও দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে পাঁচ দিনের সফরে রংপুরে পৌঁছে শনিবার দুপুরে সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে যে মিনি কেবিনেট গঠন করা হবে সেখানে জাতীয় পার্টিও থাকবে। তবে কাকে সেই মন্ত্রিসভায় নেয়া হবে তা এখনও ঠিক করা হয়নি। বিএনপি এখন ছিন্নভিন্ন একটি দল। তাদের নির্বাচনে অংশ নেয়া নিয়েও সংশয় রয়েছে। তাদের অস্তিত্ব হুমিকর মুখে। তারপরেও আমরা দুধরনের প্রস্তুতি রেখেছি।
এরশাদ বলেন, বৃহত্তর রংপুরের ২২টি আসনের মধ্যে শুধু পীরগঞ্জ ছেড়ে দিয়েছিলাম। এবারও আশা করি এই ২১টি আসনে আমরা জয়ী হব। এ বিষয়ে অন্যরা কে কী আসা করল। কে কী দাবি করল। তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। আমরা এবার রংপুরের সব কটি আসন চাই। যেহেতু নির্বাচন ছাড়াই তারা (আওয়ামী লীগ) সবকটি আসন দখল করে নিয়েছিল। কিন্তু এবার নির্বাচন হবে। রংপুরের মানুষ আমাদের ভোট দিবে। এটা নিশ্চিত।
Advertisement
ড. কামাল ও বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন জোটের ব্যাপারে এরশাদ বলেন, দেশে দুটি জোট আছে। একটা আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টির মহাজোট আর বিএনপির ২০ দলীয় জোট। এর বাইরে আর কোনো জোটের অস্তিত্ব থাকবে না।
সাম্প্রতিক সময়ের কোটা ও নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের বিষয়ে এরশাদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কোনো আন্দোলনই দানা বাঁধতে পারবে না। এখন আন্দোলন নির্ভর করে সরকারের ওপর।
রংপুর সদর ৩ আসনের প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা শুরুর ঘোষণা দিয়ে এরশাদ বলেন, রংপুর-৩ আসনে আমি নির্বাচন প্রচারণা শুরু করলাম। এই আসন থেকে আমি বরাবরই নির্বাচিত হয়ে এসেছি। এবারও আমি এই আসন থেকে নির্বাচন করব। আমি যেন মরার সময় গর্ব করে বলতে পারি। রংপুরের মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছে। তাদের ভালোবাসা নিয়ে আমি কবরে যেতে চাই।
এ সময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু ও মেজর (অব.) মো. খালেদ আখতার, রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
জিতু কবীর/আরএ/এমএস