দেশজুড়ে

অভিযোগ ছাড়া কোনো গাড়ি আটক করা যাবে না : নৌমন্ত্রী

নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে মাত্র ২৬ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ১১১ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।

Advertisement

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে রিজার্ভ ছিল মাত্র সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা। মংলা বন্দরের লোকসান ছিল ১১ কোটি টাকা। আজ সেখানে ৭৫ কোটি টাকা লাভে দাঁড়িয়েছে। বেনাপোল বন্দরকে আরও উন্নত করতে এবং ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে ১৭৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়। আওয়ামী লীগ সরকার ১২টি গেজেটভুক্ত বন্দর থেকে ২৩ বন্দরকে গেজেটভুক্ত করেছে। ইতোমধ্যে নদী পথে আমদানি বাড়াতে ১৫০০ কিলোমিটার নদী খনন বা ড্রেজিং করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশকে আরও গতিশীল করে স্বল্প উন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। আগামীতে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে নিয়ে যাবে সেই লক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের যত রকম সহযোগিতার প্রয়োজন তা করা হবে বন্দর উন্নয়নের জন্য। যদি আরও জমি লাগে তা আপনারা দেখে আমাদের জানান। টাকার সমস্যা নেই। আমরা আরও জমি অধিগ্রহণ করবো বেনাপোল বন্দরের জন্য। এখানে যানজট এবং পণ্যজট এর জন্য দ্রুত জায়গা নিয়ে টার্মিনাল ও আমদানি পণ্য রাখতে হবে।

বেনাপোল বন্দরকে ইউনিফাইড বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ১৭৫ একর জমি অধিগ্রহণের মধ্যে আজ ২৬ একর জমির চেক জেলা প্রশাসকের কাছে প্রদান করা হলো।

Advertisement

শুক্রবার দুপুরে বেনাপোল চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল সম্মেলন কক্ষে বেনাপোল স্থলবন্দরের ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষে বেনাপোল স্থলবন্দরের গতিশীলতা আনায়নের নিমিত্তে গঠিত উপদেষ্টা কমিটির ৯ম সভায় কমিটির সভাপতি নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান এসব কথা বলেন।

বিজিবি কর্তৃক পথে পথে আমদানি পণ্য আটক করে হয়রানির অভিযোগে মন্ত্রী বলেন, বিজিবি যদি এরকম হয়রানি করে থাকে তাহলে বিজিবির সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে এর সমাধান করতে হবে। কারণ বিজিবিও একটি বাহিনী। তাদের অনেক সময় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গাড়ি তল্লাশি করতে হয়। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে সে ক্ষেত্রে বিজিবি তল্লাশি করবে। আগ্নেয়ান্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য থাকলে সেই ক্ষেত্রে বিজিবি তল্লাশি করতে পারে তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কোনো গাড়ি আটক করা যাবে না। সভায় উপস্থিত ছিলেন নৌ-পরিবহন সচিব আব্দুস সামাদ, বাংলাদেশ স্থল বন্দরের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী, যুগ্ম সচিব হাবিবুর রহামান, বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন, খুলনা পুলিশের ডিআইজি মো. নাহিদ হোসেন, যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়াল, বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী, স্থলবন্দরের সদস্য জাহিদুল হক, বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক আমিনুল ইসলাম, বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার শহিদুল ইসলাম, যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, বিজিবির টুআইসি মেজর নজরুল ইসলাম, শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডল, বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ওসি আবু সালেহ মাসুদ করিম প্রমুখ।

জামাল হোসেন/এমএএস/এমএস

Advertisement