মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে ঢাকা ও নড়াইলে করা মানহানির দুই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ।
Advertisement
বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই স্থগিত আবেদন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এম এ কামরুল আহসান খান আসলাম। শুক্রবার তিনি জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নড়াইলের মামলায় গত ১৩ আগস্ট (সোমবার) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ছয়মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট।
এর একদিন পর ১৪ আগস্ট ঢাকার মামলায়ও ছয়মাসের জামিন পান খালেদা জিয়া।
Advertisement
২০১৫ সালে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে ওই বিতর্কিত মন্তব্য করায় ঢাকা ও নড়াইলে মামলা দুটি করা হয়।
নড়াইলের মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বির্তক আছে বলে মন্তব্য করেন। এ ছাড়া একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাকে (বঙ্গবন্ধু) ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি। তার ওই বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হয়।
মামলার বাদী নড়াইলের কালিয়ার চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম নড়াইল জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে বসে খবরটি পড়ে ক্ষুব্ধ হন। পরে তিনি বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন।
আদালত ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। নির্ধারিত সময়ে খালেদা জিয়া আদালতে হাজিরা না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
Advertisement
অপরদিকে ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মানহানির মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। এরপর ওই মামলায় জামিন চেয়ে খালেদা জিয়া আবেদন করেন।
এই মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন।
এফএইচ/জেডএ/এমএস