বাইরে তাপমাত্র বাড়লে আপনিও দরদর করে ঘামতে থাকেন? বিশেষ করে রান্নার কাজে রান্নাঘরে গেলে চুলার তাপে ঘেমে ঝোল হয়ে যান? স্বাভাবিক মাত্রায় ঘাম হলে তা শরীরের জন্য উপকারীই। কিন্তু অতিরিক্ত ঘাম হলে সেটি সমস্যা। এই অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা দূর করতে মেনে চলতে পারেন কিছু ঘরোয়া উপায়।
Advertisement
আরও পড়ুন: খাবারে কালোজিরা ব্যবহার করলে যেসব উপকার পাবেন
টমেটো রোদে পোড়া দাগ কমাতে সাহায্য যেমন করে, তেমনই ঘাম আটকাতে এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ভালো ফল পেতে এক বালতি গোসলের পানিতে মেশান এক কাপ টম্যাটোর রস।
লেবু ত্বকের পিএইচ মাত্রা কমিয়ে দিতে সক্ষম। এর ফলে শরীরে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী জীবাণু ধ্বংস হয়। পাতি লেবুর সঙ্গে সামান্য লবণ মিশিয়ে শরীরে লাগান, মিনিট পাঁচেক রেখে ধুয়ে ফেলুন। লবণের সোডিয়াম রোমকূপের মুখ পরিষ্কার করে ও ঘামের দুর্গন্ধ সরায়। শরীরে ক্ষত থাকলে সেখানে এটি লাগাবেন না।
Advertisement
সাদা ভিনিগার ও অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার দুটিই ঘামের পিএইচ মাত্রা কমাতে ওস্তাদ। প্রাকৃতিক পারফিউমের উপকার পেতে দুই টেবিল চামচ ভিনিগার, কয়েক ফোঁটা পিপারমিন্ট ও রোজমেরির তেল একসঙ্গে মিশিয়ে বোতলে রাখুন। বেরনোর আগে পারফিউমের মতো স্প্রে করুন শরীরে।
চায়ের ট্যানিন ত্বককে শুষ্ক রাখতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে উপকারি গ্রিন টি। পানি ফুটিয়ে তাতে গ্রিন টি-র পাতা দিন। সেই চা এবার ভরে নিন বোতলে। বেশি ঘাম হয় শরীরের এমন নানা জায়গায় স্প্রে করুন। উপকার মিলবে।
আরও পড়ুন: সুন্দর ত্বকের জন্য ঘুমের আগে যে কাজটি করবেন
বেকিং সোডা শরীরের অতিরিক্ত আর্দ্রতা শুষে নেয়। ফলে ঘাম ও তার দুর্গন্ধ দুই থেকেই বাঁচায় এটি। যেসব অংশ বেশি ঘামে সেখানে পাউডারের মতো করে ব্যবহার করুন বেকিং সোডা। ভালো ফল পেতে অল্প পানিতে দুই চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে তা স্প্রে করুন। শুকিয়ে গেলে ঝেড়ে ফেলুন।
Advertisement
এইচএন/পিআর