দেশজুড়ে

ঢাকা-টাঙ্গাইলে স্বস্তির আশা

গাজীপুরের ভোগড়া থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক। প্রতি বছর ঈদ এলেই এ মহাসড়কে সৃষ্টি হয় ভয়াবহ যানজট। ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। গত ২০১৫ সালে মহাসড়কটির চার লেনে উন্নীতকরণ কাজ শুরু হয়। যা অনেকটা শেষের পথে। এতে পাল্টে যাচ্ছে মহাসড়কের চিত্র। ইতোমধ্যে যান চলাচলের জন্য প্রস্তুত ২৩টি সেতু। এ অবস্থায় আসন্ন ঈদযাত্রা যানজটমুক্ত হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Advertisement

দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চার লেনের শেষ মুহূর্তের কাজ। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের অন্যতম যানজটপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত মির্জাপুরের ধেরুয়া রেলক্রসিং এলাকা। এখানে নির্মাণাধীন উড়াল সেতুর একাংশ যানবাহন চলাচলের জন্য ঈদের আগে খুলে দেয়ার জন্য দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। এবারের ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য আগামী ১৮ আগস্ট থেকে উড়াল সেতুটি খুলে দেয়া হবে বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, ২০০৩ সালে বঙ্গবন্ধু রেল সংযোগ সড়কে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে এই সড়ক দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ১৫টি ট্রেন ৩০ বার যাতায়াত করে থাকে। এতে ধেরুয়া রেল ক্রসিং এলাকায় কমপক্ষে ১৫০ মিনিট মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ থাকে। উড়াল সেতু না থাকায় মহাসড়কের ওই স্থানে যানজট ছিল নিত্যদিনের দৃশ্য। বিশেষ করে ঈদ মৌসুমে এই যানজট ভয়াবহ রূপ নিত।

Advertisement

এ দুর্ভোগ লাঘবে সরকার ৩২৯ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৯.৪ মিটার প্রস্থবিশিষ্ট দুইটি উড়াল সেতু নির্মাণের কাজ হাতে নেয়। ইতোমধ্যে উত্তর পাশের উড়াল সেতুটির ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। যা ঈদের আগে আগামী শনিবার যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে বলে টাঙ্গাইলের সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাব ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব আলম জানিয়েছেন।

ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ‘দ্রুতগামী পরিবহন’র চালক কাদের মিয়া ও পাবনা থেকে ছেড়ে আসা গরু ভর্তি ট্রাকের চালক আলমগীর হোসেন জানান, মহাসড়কের কোথাও যানজটের আশঙ্কা নেই। পুলিশ নিয়োমিত তদারকি করলে যানজট হবে না। তাছাড়া উড়াল সেতু চালু হলে তাদের যানজটে আটকা পড়তে হবে না।

এছাড়া চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত সোহাগপুর, দেওহাটা, শুভুল্যা, আছিমতলা, পাকুল্যা, জামুর্কী, নাটিয়াপাড়া, করটিয়াতে ডাবল সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।

অপরদিকে মহাসড়কের মির্জাপুর এলাকার মির্জাপুর বাইপাস, কুর্ণী, দেওহাটা, পাকুল্যা ও সোহাগপাড়া এলাকায় আন্ডারপাস নির্মাণের কাজ চলছে।

Advertisement

সেতুগুলো গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন। এর ফলে মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলো নির্বিঘ্নে গন্তব্যে চলাচল করতে পারবে বলে জানা গেছে।

প্রকল্প ব্যবস্থাপক অমিত কুমার চক্রবর্তী বলেন, ঢাকা-টাঙ্গাইল চারলেন মহাসড়কের ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ২০ শতাংশ কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানার ওসি একেএম কাউছার জানান, মহাসড়কের ধেরুয়া রেল ক্রসিংয়ের উড়াল সেতু খুলে দেয়া হলে ঈদের সময় ওই এলাকার যানজট কমে যাবে। এছাড়া মহাসড়কের অন্য সেতুগুলো খুলে দেয়াতে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন হবে।

এসএম এরশাদ/এফএ/আরআইপি