একটি ঘড়ির মূল্য দেড় লাখ বৃটিশ পাউন্ড। কল্পনা করা যায়! বাংলাদেশি টাকায় কত হতে পারে? এক কোটি ৬০ লাখ ৮৬ হাজার ৭২৭ টাকা। অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে? হওয়ারই কথা। এত টাকারও ঘড়ি কেউ পরেন? পরেন বলেই তো এটা সংবাদের শিরোনাম। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ কোচ পেপ গার্দিওলার হাতেই শোভা পাচ্ছে সবচেয়ে মূল্যবান এই ঘড়িটির।
Advertisement
গত সপ্তাহেই শুরু হয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুম। প্রথম সপ্তাহেই মাঠে নেমেছে প্রায় প্রতিটি দল এবং প্রতিটি বড় দলই শুরু করেছে জয় দিয়ে। মাঠের খেলা দেখতে গিয়ে ‘রথ দেখা এবং কলা বেচা’ দুটো কাজই একসঙ্গে সেরে নিয়েছে পাপারাজ্জিরা। তারা কোচদের অজান্তেই তুলে নিয়েছে তাদের হাতে শোভা পাওয়া ঘড়িগুলো।
এরপর সবগুলো ছবি একসঙ্গে টেবিলে রেখে বিশ্লেষণ করা হলো কোন কোচ কোন ব্র্যান্ডের, কত টাকা মূল্যের ঘড়ি হাতে পরে মাঠে এসেছেন মৌসুমের প্রথম ম্যাচে। সেখানে পেপ গার্দিওলার ঘড়ি দেখে তো সবার চোখ কপালে ওঠার মতো অবস্থা! এত টাকার ঘড়ি হাতে দিয়েছেন ম্যানসিটি কোচ! বৃটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য সান প্রকাশ করেছে কোচদের হাতের ঘড়ি নিয়ে সেই ফিচার রিপোর্টটি।
পেপ গার্দিওলার হাতে শোভা পাওয়া ছাইরঙা এই ঘড়িটি হচ্ছে রিচার্ড মিলি আরএম জিরোজিরোফোর ব্র্যান্ডের। এই মডেলের ঘড়ি মাত্র একটাই তৈরি করেছে ব্র্যান্ডটি এবং এই ব্র্যান্ডের প্রায় একই টাইপের ঘড়িগুলো মূল্য এক লাখ ৫০ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ডের বেশি। গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাধে বোঝাই যাচ্ছে পেপ গার্দিওলার বৃহস্পতি এখন তুঙ্গে।
Advertisement
ম্যানইউ কোচ হোসে মরিনহোর হাতে শোভা পাচ্ছে হ্যাবলট ব্র্যান্ডের বিগব্যাঙ ইউনিকো ৪৫এমএম অটোমেটিক ক্রোনোগ্রাফ ম্যাজিক গোল্ড ঘড়ি। ঘড়িটির মূল্য প্রায় ১৫ হাজার ৯০৯ ব্রিটিশ পাউন্ড। বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্য দাঁড়াচ্ছে ১৭ লাখ ছয় হাজার ১৫৮ টাকা। তবে হোসে মরিনহো কিন্তু হাবলটের একজন শুভেচ্ছাদূতও বটে।
টটেনহ্যাম হটস্পারের আর্জেন্টাইন কোচ মাওরিসিও পোচেত্তিনোর হাতে শোভা পাচ্ছিল অ্যাকুয়াটাইমার ক্রোনোগ্রাফ এডিশন ‘এক্সপেডিশন চার্লস ডারউইন’ ঘড়ি। যার মূল্য সাত হাজার ৩শ ৫২ পাউন্ড। বাংলা টাকায় মূল্য দাঁড়াচ্ছে, সাত লাখ ৮৮ হাজার ৬৪৭ টাকা।
চেলসি কোচ মাওরিজিও সারির হাতে শোভা পাচ্ছিল প্যানেরাই লুমিনোর পাওয়ার রিজার্ভ ঘড়ি। যার মূল্য ছয় হাজার পাউন্ড। বাংলাদেশি মূদ্রায় ছয় লাখ ৪৩ হাজার ৪৭০ টাকা। ক্রিস্টাল প্যালেসের কোচ রয় হজসন হাতে দিয়েছেন ২৫ হাজার ২০০ পাউন্ড মূল্যের হাবলট বিগব্যাঙ গোল্ড সিরামিক ঘড়ি। বাংলা টাকায় যার পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে, ২৭ লাখ দুই হাজার ৫৭০ টাকা।
লিভারপুল কোচ ইউর্গেন ক্লুপ হাতে দিয়েছেন আইডব্লিউসি অ্যাকুয়াটাইমার সিরাটানিয়াম ‘ফিফটি ইয়ারস অ্যাকুয়াটাইমার’ সংস্করণের ঘড়ি। মূল্য পাঁচ হাজার ৫শ পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় পাঁচ লাখ ৮৯ হাজার ৮৪৬ টাকা। সবচেয়ে গরিব মনে হচ্ছে হাডার্সফিল্ড কোচ ডেভিড ওয়াগনার্সকে। চেলসির বিপক্ষে মাঠে নামার সময় তার হাতে দেখা গেলো মাত্র ১০০ পাউন্ডের সাধারণ মানের ঘড়ি। বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্য ১০ হাজার ৭২৫ টাকা।
Advertisement
আইএইচএস/বিএ