নাটোরের বড়াইগ্রাম সরকারি কলেজে শোক দিবসের অনুষ্ঠানে মঞ্চে বসা নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
আহতদের মধ্যে হাসানুজ্জামান শিপন (১৯), মাসুদ রানা (২০) ও শাহীন আলম (২০) নামে তিনজনকে বড়াইগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে অধ্যক্ষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাসানুজ্জামান শিপনকে হাসপাতাল থেকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, সকালে শিপন ৩/৪ জন বহিরাগত নিয়ে কলেজ চত্বরে শোক দিবসের মঞ্চে গিয়ে শিক্ষকদের জন্য রাখা চেয়ারে বসেন। সেখানে উপস্থিত মাসুদ রানা নামে এক শিক্ষার্থী তাদেরকে শিক্ষকের চেয়ার ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করেন। এ সময় শিপন চেয়ার না ছেড়ে উল্টো মাসুদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এর একপর্যায়ে শিপন উত্তেজিত হয়ে মাসুদের ওপর হামলা চালান। এ সময় অন্যরা এগিয়ে এলে সংঘর্ষ বাধে। এতে মাসুদ ও শিপনসহ অন্তত সাতজন আহত হন।
বড়াইগ্রাম কলেজের মনোবিজ্ঞানের প্রভাষক রেজাউল করিম জানান, মাসুদ রানা স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির মনোবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এবং হাসানুজ্জামান শিপন ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তারা উভয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
Advertisement
বড়াইগ্রাম পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান তুহিন জানান, শাহীন আলম ৯ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি এবং হাসানুজ্জামান শিপন ও মাসুদ রানা উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য।
বড়াইগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন বলেন, কলেজ চত্বরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপরাধে শিপনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তার নামে মামলা করা হবে।
বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস বলেন, কলেজের পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। অধ্যক্ষের মৌখিক অভিযোগে শিপন নামে এক ছাত্রকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
রেজাউল করিম রেজা/আরএআর/আরআইপি
Advertisement