প্রবাস

বঙ্গবন্ধুকে হত্যা ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায় : ফরাসউদ্দিন

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ. ফরাসউদ্দিন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা বাংলাদেশের ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায়। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড জাতির অস্তিত্ব ও মননে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছিল। খুনিদের বিচারের মাধ্যমে জাতি তার কলঙ্কের দায় কিছুটা হলেও লাঘব করেছে।

Advertisement

বুধবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন। দূতাবাসের প্রধান ফটকের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

পরে প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন হাই কমিশনার মুহা. শহীদুল ইসলাম। এছাড়া আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

হাই কমিশনার মুহা. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শোক দিবসের আলোচনা সভা।

Advertisement

দূতাবাসের কাউন্সিলর (শ্রম) মো. সায়েদুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের ডিফেন্স উইং প্রধান এয়ার কমডোর হুমায়ূন কবির। প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতালয় প্রধান ওয়াহিদা আহমেদ। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন প্রথম সচিব মোছা. তাহমিনা ইয়াসমিন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দ্বিতীয় সচিব শ্রম ফরিদ আহমদ।

আলোচনা সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে সেদিন বাঙালির ইতিহাসে এক কালিমালিপ্ত অধ্যায় রচিত হয়েছিল। এই বর্বর হত্যাযজ্ঞ ছিল বাঙালি জাতির ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন ড. ফরাসউদ্দিন তার একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব ড. ফরাসউদ্দিন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন, যিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।

এছাড়া আলোচনা সভায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী নিয়ে আলোচনা করেন হাই কমিশনার মুহা. শহীদুল ইসলাম।

Advertisement

এ সময় দূতাবাস কর্তৃক শোক দিবসের আলোচনা সভায় মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) রইছ হাসান সারোয়ার, শ্রম শাখার প্রথম সচিব মো. হেদায়েতুল ইসলাম মণ্ডল, কমার্শিয়াল উইং মো. রাজিবুল আহসান, ফার্স্ট সেক্রেটারি মো. মাসুদ হোসাইন, পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার প্রথম সচিব মো. মশিউর রহমান তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত হোসেন পান্না, মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি মকবুল হোসেন মুকুল উপস্থিত ছিল।

এছাড়া সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান কামাল, যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াহিদুর রহমান অহিদ, রাশেদ বাদল, দাতু আক্তার হোসেন, কায়ূম সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, শাখাওয়াত হক জোসেফ, শফিকুর রহমান চৌধুরী, হুমায়ূন কবির, যুবলীগ নেতা বাবলা মজুমদার, মনির দেয়ান, জহিরুল ইসলাম, মাসুদুল আলম রনি, কাজল, মাহমুদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জালাল উদ্দিন সেলিম, সহ-সভাপতি এম এ হান্নান, সাধারণ সম্পাদক তারিকুজ্জামান মিতুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদ সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ সরকার, শ্রমিক লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম বাবুল, সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, সহ-সভাপতি শাহ আলম হাওলাদারসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতারা ও দূতাবাসের সকল শ্রেণির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভা শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও এই দিনে সব শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

এমআরএম/আরআইপি