‘হে পিতা তোমার আদর্শে শানিত আমাদের চেতনা/ অশুভর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তুমি নিরন্তর প্রেরণা’- বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের আয়োজিত আলোচনা সভার ব্যানারে লেখা কবিতার লাইন দু’টো। স্টেজ আলোকিত করে আছেন চলচ্চিত্রের মানুষেরা।
Advertisement
উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ফারুক, এফডিসির এমডি আমির হোসেন, মিশা সওদাগর, রিয়াজ, জায়েদ খান, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, আওয়ামী লিগের সংস্কৃতিক সম্পাদক অসিম কুমার, প্রযোজক সমিতির নেতা খোরশেদ আলম খসরু, বাংলাদেশ বেতার শিল্পী সংঘের সাধারন সম্পাদক সাইফুল আজম বাশার, হল মালিক সমিতির মিঞা আলাউদ্দিন, নির্মাতা শাহ আলম কিরণ, নায়িকা অঞ্জনা, দিলারা প্রমুখ।
আলোচনা শুরুর আগেই দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করতে বললেন ফারুক। এরপরে চলচ্চিত্র পরিবারের আহবায়ক নায়ক ফারুক বলেন, ‘১৫ আগস্ট আমাদের দুঃখের দিন। এ জাতির দারুণ এক বেদনার দিন। আমি বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য পেয়েছি, তাকে অনেকবার কাছ থেকে দেখেছি। কিন্তু তাকে চিনতে পারলাম না। বঙ্গবন্ধুকে চিনতে হলে তাকে বুকের ভেতর ধারণ করতে হয়। অনেক মানুষের ভেতর থেকে একটি মানুষ বেরিয়ে এসেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাকে চিনতে পারলে সবখানেই তার দেখা মেলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এফডিসি তৈরি করেছেন বঙ্গবন্ধু। আমাদের কাছে তাই অন্য রকম এক আবেগের জায়গাজুড়ে তিনি আছেন। তার কাছেই আমরা দেশের প্রতি প্রেম শিখেছি। তিনি জাদু জানতেন। সেজন্যই নানা দ্বিধা দ্বন্দ্বে থাকা একটি জাতিকে তিনি এক করতে পেরেছিলেন এবং স্বাধীনতার জন্য জীবন দিতে ঝাপিয়ে পড়ার সাহস যুগিয়েছিলেন। আজ অনেক পত্রিকায় দেখলাম বঙ্গবন্ধুর বড় বড় ছবি। কিন্তু তার নিচেই বিভিন্ন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রির নাম। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এসব করবেন না, দেখতে কষ্ট হয়। জাতির পিতার আশেপাশে বাণিজ্য রাখবেন না। সেখানে শুধু সম্মান আর শ্রদ্ধা রাখুন।’
Advertisement
‘মিয়াভাই’খ্যাত চিত্রনায়ক ফারুক আরও বলেন, ‘আমি সব সময় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ভাবি। উনি বলেছিলেন বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না, সত্যিই পারেনি। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ শুরু করেছেন বৃটিশ আমল থেকে। বাঙালির স্বাধীনতা প্রয়োজন সেটা তিনি ছাত্র থাকাকালীনই অনুধাবণ করতে পেরেছিলেন। তিনি দুরদর্শিতায় দক্ষ ছিলেন। তিনি ভালোবেসে শত্রু-মিত্র এক করে রাখতেন। মানুষকে ভালোবাসার শিক্ষা তিনি দিয়ে গেছেন। এমন ভালোবসার একজন মানুষকে হত্যা করা হলো! একদল বেঈমান এই মানুষটিকে মেরে ফেললো। তারা ইতিহাসে চিরদিন ঘৃণিত।’
এলএ/পিআর