নামকরা চোখের চিকিৎসক যেভাবে নির্ভুলভাবে চোখ পরীক্ষা করতে পারেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করেও সেভাবে চোখের রোগ ধরা যাবে।
Advertisement
লন্ডনের মুরফিল্ডস আই হসপিটাল এবং গুগলের একটি প্রতিষ্ঠান, ডিপ মাইন্ড এ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে। তারা দেখেছে, মানুষের চোখের জটিল স্ক্যান ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’পড়তে বা বুঝতে পারে এবং ৫০টির মতো চোখের রোগ এভাবে সনাক্ত করা সম্ভব।
যেসব চক্ষুরোগীর শিগগিরই চিকিৎসা দরকার, তাদের রোগ ধরতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বড় ভূমিকা রাখবে বলে চিকিৎসকরা আশা করছেন।
লন্ডনে গুগলের ডিপ মাইন্ডের যে টিমটি কাজ করে, তারা একটি এলগরিদম তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে কম্পিউটার মানুষের চোখের ত্রিমাত্রিক স্ক্যান পড়তে এবং বিশ্লেষণ করতে পারে। হাজার হাজার স্ক্যান এভাবে বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই যন্ত্র রীতিমত বিশেষজ্ঞ চোখের ডাক্তারের মতই কাজ করতে পারে।
Advertisement
এক হাজার রোগীর চোখের স্ক্যান আটজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ এবং এই কম্পিউটারকে আলাদাভাবে দেখানো হয়েছিল। দেখা গেছে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা যে রোগ সনাক্ত করে যে ধরণের ব্যবস্থার পরামর্শ দিয়েছেন, কম্পিউটারও নির্ভুলভাবে সেই এই রোগ সনাক্ত করে একই পরামর্শ দিয়েছে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের এই কাজকে বিস্ময়কর বলে বর্ণনা করেছেন মুরফিল্ডস আই হসপিটালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পিয়ার্স কীন।
‘এটা দেখে কিন্তু বেশিরভাগ চক্ষু বিশেষজ্ঞের মুখ হাঁ হয়ে যাবে। কারণ স্ক্যান বিশ্লেষণ করে রোগ সনাক্ত করতে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিশ্বের নামকরা বিশেষজ্ঞদের মত সমান দক্ষ।’
কীন বলেন, আগামী দু-তিন বছরের মধ্যেই এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কাজে লাগানো যাবে বলে তিনি আশা করছেন। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কাজে লাগানো গেলে সেটি চিকিৎসকদের ওপর চাপ কমাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Advertisement
এসআইএস/পিআর