দুপুর সোয়া ১২টায় মানিক মিয়া এভিনিউ পশ্চিম বাস স্ট্যান্ডে অবস্থান নেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েতুল্লাহ ও অন্যান্য বাস মালিকরা।
Advertisement
এই রুটে চলাচালকারী স্বাধীন, লাব্বায়েক, বিকাশ, ওয়েলকাম ও স্বজন পরিবহনের কয়েকটি বাস থামিয়ে সেগুলোর নিবন্ধন ও চালকের লাইসেন্স যাচাই-বাছাই করতে থাকেন তারা। কোনো অসঙ্গতি থাকলে সঙ্গে সঙ্গে দেয়া হচ্ছে মামলা। মামলা দিচ্ছিলেন ডিএমপির ট্রাফিক সার্জেন্ট ফরহাদ।
মানিক মিয়া এভিনিউ ছাড়াও রাজধানীর সায়েদাবাদ, মহাখালী বাস টার্মিনাল ও মিরপুরে বাস মালিকরা যানবাহন ও লাইসেন্স চেক করছেন।
এসময় ভিআইপি পরিবহনের একটি ও ওয়েলকাম পরিবহনের একটি বাসের ড্রাইভারকে অপ্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে শনাক্ত করা হয়। তবে লাইসেন্স থাকায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
Advertisement
এ ছাড়াও যাচাই-বাছাইকৃত অধিকাংশ গাড়ির বিরুদ্ধে আগে থেকেই মামলা রয়েছে। তাই তারা ডিএমপির মামলার কাগজ ছাড়া আর কিছু দেখাতে পারেনি।
খন্দকার এনায়েতুল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, আমরা দেখেছি যে টার্গেট ও কন্ট্রাক্টভিত্তিক গাড়ি চালানোর কারণে প্রতিযোগিতা ও দুর্ঘটনা ঘটছে। আমরা এসব বন্ধের ঘোষণা দিয়েছি। পাশাপাশি সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে আমাদের ৬০ জন মালিক-শ্রমিক ৪ পয়েন্টে কাজ করছে। নজরদারি করে এ পর্যন্ত আমরা অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক পেয়েছি। এ ছাড়াও অনেকে হালকা যানের লাইসেন্স নিয়ে বাস চালাচ্ছেন। আমরা এগুলো ঠিক করতে কাজ করে যাচ্ছি। সড়ক নিরাপদ করে আমরা ঘরে ফিরবো।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের অদূরে বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় নিহত হয় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী। এরপর নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনে ঢাকা কার্যত অচল হয়ে পড়ে। দাবি পূরণের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা ঘরে ফেরার পর থেকে সড়কে নৈরাজ্য ঠেকাতে নানা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এআর/এনএফ/জেআইএম
Advertisement