বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের (বিটিবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আকতারুজ্জামান খান কবিরকে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে বদলি করা হয়েছে। তার স্থলাভিষিক্ত হন ড. মো. নাসির উদ্দিন। এরপর আরও নতুন দুইজকে একই পদে পদায়ন করা হলেও বিটিবির ওয়েবসাইটে এখনো আকতারুজ্জামান খান কবিরকেই সিইও পদে দেখানো হচ্ছে।
Advertisement
আকতারুজ্জামান খান কবিরের বিদায়ের পর ওই বছরের ফ্রেব্রুয়ারিতে ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে যোগদান করেন ড. মো. নাসির উদ্দিন। তার কিছুদিন পর তার স্থলে নিয়োগ পান নিখিল রঞ্জন রায়। সর্বশেষ কিছুদিন আগে নিখিল রঞ্জন রায়কে সরিয়ে মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে এ পদে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের ওয়েবসাইটে এখনো আকতারুজ্জামান খান কবিরের নাম রেখে দেয়া হয়েছে। তবে কী কারণে এখনো আকতারুজ্জামান খান কবিরের নাম রাখা হয়েছে সে বিষয়ে ট্যুরিজম বোর্ডের কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) পরিচালক তৌফিক রহমান বলেন, যারা নিজেদের ঘরটা ঠিকভাবে সাজিয়ে গুজিয়ে আপডেট রাখতে পারে না, তারা পর্যটনের কী উন্নয়ন করবে? এ অবহেলা ও অযোগ্যতা সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্ববিরোধী কার্যক্রম।
Advertisement
তৌফিক রহমানের মতো অনেকেই একই কথা বলছেন। নাম প্রকাশ না করে একজন বলেন, পর্যটন বোর্ড শুরু থেকেই অযোগ্যদের আখড়া, তা না হলে ডিজিটাল বাংলাদেশে এমন স্ববিরোধী কার্যক্রম সম্ভব?
মিনহাজুল করিম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘ওয়েবসাইট যার দায়িত্বে তাকে শাস্তির আওতায় আনা দরকার।’ গণমাধ্যমকর্মী মাহবুব মোর্শেদ বলেন, ‘আকতারুজ্জামান খান কবিরের পর যারা সিইও পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদেরইবা কেমন দায়িত্বজ্ঞান। বোর্ডের প্রধান হয়েছেন অথচ অন্যের নাম গলায় ঝুলিয়ে অনুষ্ঠানের পর অনুষ্ঠান চড়ে বেড়িয়েছেন। কাজের কাজ কিছুই করেননি।’
ট্যুরিজম বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা শাজাহান কবির বলেন, ‘আমরা আজই এটি আপডেট করব।’ এতদিন না করার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের ওয়েবসাইট নিয়ে অনেক আগে থেকে কাজ করতেছিলাম। কিছু জটিলতাও ছিল।’ তবে জটিলতা বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করেননি।
এ বিষয়ে জানতে বিটিবির বর্তমান সিইও জাহাঙ্গীর হোসেনের নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তার ব্যবহৃত নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে আজ (১৪ আগস্ট, মঙ্গলবার) জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের ফেলোশিপ দিচ্ছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড (বিটিবি)।
Advertisement
আরএম/আরএস/জেআইএম