অর্থনীতি

মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের ৪৩১৬ কোটি টাকা ঋণ

মাধ্যমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে ট্রান্সফারমিং সেকেন্ডারি এডুকেশন ফর রেজাল্ট অপারেশন (টিএসইআরও) শীর্ষক প্রকল্পে ৫১ কোটি মার্কিন ডলার বা স্থানীয় মুদ্রায় ৪ হাজার ৮০ কোটি টাকার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। একই প্রকল্পে আরও ১ কোটি ডলার গ্লোবাল ফিন্যান্সিং ফেসিলিটির (জিএফএফ) আওতায় অনুদান দিচ্ছে সংস্থাটি। এ লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে একটি ঋণ ও অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

Advertisement

সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আযম এবং বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর রাজশ্রী পারালকার।

চুক্তি সইয়ের পর কাজী শফিকুল আযম বলেন, এ টিএসইআরও প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মাধ্যমিক শিক্ষার গুনগত মান বৃদ্ধি পাবে। মানবসম্পদ উন্নয়নে প্রকল্পটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে। সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে দেশের জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর করার জন্য। সে প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

তিনি জানান, মানবসম্পদ উন্নয়নে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে অনেক দূর এগিয়েছে। এমনকি ইউএনডিপির হিসাব অনুযায়ী ভারত ও পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, তবে মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়নের জন্য সরকারি ও উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থায়নে বিচ্ছিন্নভাবে আর প্রকল্প গ্রহণ করা হবে না। টেকসই ফলাফল অর্জনের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সমন্বিত প্রকল্প হাতে নিচ্ছে।

রাজশ্রী পারালকার বলেন, শিক্ষার জন্য এটা একটি সমন্বিত প্রকল্প। আশা করছি, ১৩ মিলিয়ন শিক্ষার্থী উপকৃত হবে। শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিগত কয়েক বছরে দারুণ সাফল্য দেখিয়েছে। দেশের উন্নয়নের গতি ধরে রাখতে তরুণ সমাজকে এগিয়ে নিতে হবে। তরুণের সার্বিক শিক্ষার উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক সঙ্গী হতে পেরে ধন্য। প্রকল্পের জন্য বিশ্বব্যাংকের ঋণ ছয় বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এই সহজ শর্তে ঋণের উপর বার্ষিক শূন্য দশমিক ৭৫ হারে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে।

এমইউএইচ/জেএইচ/আরআইপি

Advertisement