জাতীয়

শোক দিবস উপলক্ষে পুলিশের রক্তদান কর্মসূচি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ পুলিশ।

Advertisement

সোমবার দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের শহীদ এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সার্বিক সহযোগিতা করে পুলিশ ব্লাড ব্যাংক।

অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন। সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার ও বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আছাদুজ্জামান মিয়া।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপ-পুলিশ কমিশনার (স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ) ও বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রলয় কুমার জোয়ারদার। অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যসহ ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

কর্মসূচি উদ্বোধনকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ডাকে নিরস্ত্র বাঙালি পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তারমধ্যে তৎকালীন বীর বাঙালি পুলিশ সদস্যরা ছিলো অন্যতম। মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধে দেশের জন্য অকাতরে নিজের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন বীর পুলিশ সদস্যরা। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা।’

১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের নিহত সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের এই মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান স্বরাষ্ট্র সচিব।

সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ১৫ আগস্ট শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি, তারা হত্যা করেছে অসাম্প্রদায়িক চেতনা, গণতন্ত্র ও বাঙালি জাতিকে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম একদিনের নয়। ১৯৪৮ সাল থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীর বুকে নিজের অবস্থান করে নিয়েছে।

Advertisement

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, স্বাধীনতা ও দেশের সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের বিরুদ্ধে যেই ষড়যন্ত্র করবে তাকে বাংলাদেশ পুলিশ ছাড় দেবে না। বঙ্গবন্ধুর ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকীতে এটাই হোক আমাদের প্রত্যয়।

জেইউ/এমআরএম/পিআর