দুই দিনের রিমান্ড শেষে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদকে সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
Advertisement
অন্যদিকে নওশাবার আইনজীবী তার জামিন আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, নওশাবাকে আদালতে আনার পর অসুস্থ (ডায়রিয়া) হয়ে যায়। বর্তমানে সে ঢামেকে চিকিৎসাধীন। তার জীবন বাঁচানোর জন্য জামিন চাচ্ছি।
এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাইবার ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে তিনি বলেন যে, রিমান্ডে সে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তাই মামলার তদন্ত স্বার্থে তার জামিন নামঞ্জুরের আবেদন করছি।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম এসিএমএম) আসাদুজ্জামান নূর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এর আগে শুক্রবার (১০ আগস্ট)২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে ঢাকা মহানগর হাকিম আমিরুল হায়দার চৌধুরী। এর আগে রোববার (৫ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল হকের আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
Advertisement
মামলার এজহার থেকে জানা যায়, শনিবার (৪ আগস্ট) কাজী নওশাবা নিজের ফেসবুক থেকে অত্যান্ত আবেগী কণ্ঠে লাইভ ভিডিও সম্প্রচার করে বলে যে, ‘জিগাতলায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করিয়া এক জনের চোখ উঠাইয়া ফেলেছে এবং চারজনকে মেরে ফেলেছে। আপনারা যে যেখানে আছেন কিছু একটা করেন।’
তার এ আহ্বান মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়। এতে জনমনে আতঙ্ক ও বিদ্বেষ ছড়ে পড়ে। বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা তার এই মিথ্যা প্রোপাগান্ডার উৎস জানতে ফোন করলে তিনি তার স্বপক্ষে সঠিক কোনো উত্তর দিতে পারেননি। ওই সময় জিগাতলায় এ ধরনের কোনো ঘটনাও ঘটেনি।
এ ঘটনায় রোববার (৫ আগস্ট) র্যাব-১ এর ডিএপি আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ সালের ৫৭(২) ধারায় রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলাটি করেন।
জেএ/জেএইচ/পিআর
Advertisement