সরকারি চাকরিজীবীদের ৫ শতাংশ সুদে গৃহঋণের প্রজ্ঞাপন জারিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন আবাসন ব্যবসায়ীরা। তারা মনে করছেন, ১২ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মকচারী এই ঋণ সুবিধা পেলে আবাসন খাতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। নতুন বাজার তৈরি হওয়ার চাহিদা বাড়বে ফ্লাট ও প্লটের।
Advertisement
সোমবার আবাসন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউসিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) সংবাদ সম্মেলনে এই আশাবাদের কথা বলে। সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাবের প্রেসিডেন্ট আলমগীর শাসুল আলামিন লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রথম সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী ভুইয়া, দ্বিতীয় সহ-সভাপতি আহকাম উল্লাহ ইমাম খান।
রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট বলেন, সম্প্রতি অর্থমন্ত্রণালয় থেকে জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী সরকারী কর্মকর্তারা গ্রেড অনুযায়ী ৩০ লাখ টাকা থেকে ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণ সুবিধা পাবেন। ২০ বছর মেয়াদী এই ঋণের সর্বোচ্চ সুদেও হার হবে ১০ শতাংশ। এর মধ্যে সরকার দেবে ৫ শতাংশ বাকি ৫ শতাংশ দেবে ঋণগ্রহীতা। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী আবাসিক বাড়ি করার জন্য একক ও গ্রুপভিত্তিক ঋণ সুবিধা পাবেন। আবার ফ্ল্যাট কেনার জন্যও এই সুবিধা পাওয়া যাবে।
আলমগীর শাসুল আলামিন বলেন, সরকারের এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। সরকারি চাকরিজীবীদের এই সুবিধা দেয়ার ফলে ১২ লাখ চাকরিজীবী তাদের আবাসন সমস্যার অবসান ঘটবে। আর এক্ষেত্রে রিহ্যাবের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
Advertisement
তিনি বলেন, সরকার দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসা বাণিজ্য আরও গতিশীল করতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের সুদ সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে। কিন্ত বেশকিছু প্রতিষ্ঠান সরকার কর্তৃক বেধেঁ দেয়া সুদের হার কার্যকর করছে না। বিশেষ করে অনেক ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও লিজিং কোম্পানি এই নিয়ম মানছে না। তাই সরকারকে এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
প্রশ্নের জবাবে রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট বলেন, দুদক থেকে নতুন ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিধি-নিষেধ কিংবা হয়রানি নেই। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে কিছু প্রশ্ন রিহ্যাবের কাছে এসেছিল। রিহ্যাব একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠন করে এনবিআর এর সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেছেন, এনবিআর অতীত নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে চায় না। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।
এসআই/এমআরএম/পিআর
Advertisement