ফিচার

মোটরযান আইনে কোন অপরাধে কি শাস্তি

নিরাপদ সড়কের জন্য সুনির্দিষ্ট আইন ও নীতিমালা রয়েছে। যা অমান্য করলে চালক বা গাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে মামলা কিংবা জরিমানা হতে পারে। তাই ১৯৮৩ সালের ‘মোটরযান আইন’ অনুযায়ী কোন অপরাধে কি শাস্তির বিধান রয়েছে তা জানা জরুরি।

Advertisement

১৩৯ ধারা: নিষিদ্ধ হর্ন বা হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারে ১০০ টাকা জরিমানা।১৪০(১) ধারা: আদেশ অমান্য, বাধা সৃষ্টি ও তথ্য প্রদানে অস্বীকৃতি জানালে ৪০০ টাকা জরিমানা।১৪০(২) ধারা: ওয়ানওয়ে সড়কে বিপরীত দিকে গাড়ি চালানোয় ২০০ টাকা জরিমানা।১৪২ ধারা: অতিরিক্ত গতি বা নির্ধারিত গতির চেয়ে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোয় ৩০০ টাকা জরিমানা। পুনরায় অপরাধ করলে ৫০০ টাকা জরিমানা।১৪৬ ধারা: দুর্ঘটনা সংক্রান্ত যে সব অপরাধ থানায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, তার জন্য ৫০০ টাকা জরিমানা। পুনরায় অপরাধ করলে ১ হাজার টাকা জরিমানা।১৪৯ ধারা: নিরাপত্তা বিহীন অবস্থায় গাড়ি চালানোয় ২৫০-১,০০০ টাকা জরিমানা।১৫০ ধারা: কালো বা অতিরিক্ত ধোঁয়া বের হওয়া মোটরযান ব্যবহারে ২০০ টাকা জরিমানা।১৫১ ধারা: মোটরযান আইনের সাথে সঙ্গতিবিহীন অবস্থায় গাড়ি বিক্রয়, ব্যবহার, পরিবর্তন করলে ২ হাজার টাকা জরিমানা।

> আরও পড়ুন- চেকিংয়ের সময় টিকিট কেন ছেঁড়া হয়!

১৫২ ধারা: রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট বা ফিটনেস সার্টিফিকেট অথবা রুট পারমিট ব্যতীত মোটরযান ব্যবহারে ১,৫০০ টাকা জরিমানা। অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলে ২,৫০০ টাকা জরিমানা।১৫৩ ধারা: অনুমোদন বিহীন এজেন্ট বা ক্যানভাসার নিয়োগে ৫০০ টাকা জরিমানা। পুনরায় অপরাধ করলে ১ হাজার টাকা জরিমানা।১৫৪ ধারা: অতিরিক্ত মাল বা অনুমোদিত ওজন অতিক্রম পূর্বক গাড়ি চালানোয় ১ হাজার টাকা জরিমানা। পুনরায় অপরাধ করলে ২ হাজার টাকা জরিমানা।১৫৫ ধারা: বীমা ছাড়া গাড়ি চালানোয় ৭৫০ টাকা জরিমানা।১৫৬ ধারা: অনুমতি ছাড়া গাড়ি চালানোয় ৭৫০ টাকা জরিমানা।১৫৭ ধারা: প্রকাশ্য সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ৫০০ টাকা জরিমানা।১৫৮ ধারা: গাড়ির ব্রেক কিংবা কোনো যন্ত্র অথবা গাড়ির বডি কিংবা স্পিড গভর্নর সিল বা ট্যাক্সি মিটারের উপর অন্যায় হস্তক্ষেপ করলে ৫০০ টাকা জরিমানা।১৩৭ ধারা: যেসব অপরাধের জন্য মোটরযান আইনে সুনির্দিষ্ট কোনো শাস্তির ব্যবস্থা নেই, সেগুলোর জন্য ২০০ টাকা জরিমানা। অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলে ৪০০ টাকা জরিমানা।

Advertisement

এসইউ/পিআর