ভারতের লোকসভার (সংসদ) সাবেক স্পিকার ও কমিউনিস্ট নেতা সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় (৮৯ ) মারা গেছেন। সোমবার সকাল সোয়া ৮টায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। রক্তে সংক্রমণ হওয়ায় ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল তাকে।
Advertisement
গত কয়েক বছর ধরেই বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ ও বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন প্রবীণ এই বাম নেতা। হাসপাতালেই একবার হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। সেই থেকেই তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে। অবশেষে সোমবার মৃত্যু হয় তার।
সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় অনেকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। এ কারণে বাড়ি থেকেও বের হতেন না। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল হাঁটাচলাও। রক্তে সংক্রমণ হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল, চলছিল ডায়ালিসিস। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তিনি ক্রনিক অবসট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজে আক্রান্ত ছিলেন।
সোমনাথ চ্যাটার্জির জন্ম ১৯২৯ সালের ২৫ জুলাই আসমের তেজপুরে। বাবা নির্মলচন্দ্র ছিলেন আইনজীবী, মা বীণাপাণি গৃহবধূ। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। ছেলে প্রতাপ চট্টোপাধ্যায় বাবার মতো কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী।
Advertisement
এ বাম নেতার স্কুলজীবন কেটেছে কলকাতার মিত্র ইন্সটিটিউশনে। তারপর তৎকালীন প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে স্নাতক এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেন। এরপর ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জিজাস কলেজ থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫০ সালে বিয়ে করেন লালগোলার জমিদার মেয়ে রেনু চ্যাটার্জিকে।
কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী ছিলেন সোমনাথ চ্যাটার্জি। ১৯৬৮ সালে সিপিএমে যোগ দেন। ১৯৭১ সালে প্রথমবার লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হন। তারপর থেকে টানা ৯ বার সাংসদ হয়েছিলেন। ২০০৪–২০০৯ সাল পর্যন্ত লোকসভার দক্ষ হাতে স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন।
এদিকে সোমনাথ চ্যাটার্জির মৃত্যুতে শোকের ছায়া রাজনৈতিক মহলে। ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ শীর্ষ বাম নেতারা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
এমএমজেড/জেআইএম
Advertisement