অর্থনীতি

চীনে রফতানিতে ৯৭ ভাগ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ডব্লিউটিও’র সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ চীনের কাছে লেটার অব এক্সচেঞ্জ প্রেরণ করেছে, সম্মতি পাওয়া গেলেই বাংলাদেশ চীনের কাছে রফতানি পণ্যের ৯৭ ভাগে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা পাবে।

Advertisement

ডব্লিউটিও’র সদস্য দেশগুলো নিজেদের মধ্যে এ বাণিজ্য সুবিধা নিতে পারে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশ এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্টের (আপটা) আওতায় চীনের কাছ থেকে ৫,০৭৪টি রফতানি পণ্যের ওপর শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা পাচ্ছে। লেটার অব এক্সচেঞ্জ এর আওতায় বাণিজ্য সুবিধা গ্রহণ করলে আপটার আওতায় চলমান বাণিজ্য সুবিধা আর থাকবে না।

রোববার (১২ আগস্ট) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জুয়ো এর সঙ্গে মতবিনিময় করে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু এবং এফটিএ’র শাখার অতিরিক্ত সচিব মো. শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ করার জন্য চীন আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে উভয় দেশের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। এখন এফটিএ’র সম্ভাব্যতা যাচাই প্রক্রিয়া চলছে। সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলে বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষর করবে।

Advertisement

বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে চূড়ান্তভাবে উন্নীত হবে ২০২৭ সালে। তখন জিএসপি সুবিধা থাকবে না। এফটিএ করে পারস্পরিক বাণিজ্য সুবিধা নিতে হবে। চীনের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। চীনের সাংহাইয়ে আগামী ৫-১০ নভেম্বর প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপোর্টার্স এক্সপো-২০১৮ অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করবে।

তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে উভয় দেশ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। চীনের বাজারে বাংলাদেশের বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধি করা হলে, বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসবে। চীন বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্র এবং ব্যবসায়িক ও উন্নয়নের অংশীদার। চীনের সহযোগিতায় পূর্বাচলে ৩৫ একর জমির ওপর চীন-বাংলাদেশ এক্সিবিশন সেন্টার নির্মিত হচ্ছে। আগামী ২০২০ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে। মোট ব্যয়ের সিংহভাগ চীন সরকার বহন করবে।

চীনের রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, চীন বাংলাদেশকে উচ্চমাত্রায় গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক চমৎকার। বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষর করে বাণিজ্য ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা শুরু করতে চায় চীন।

বাংলাদেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে চীন আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে। প্রাইভেট এবং জি-টু-জি ভিত্তিতে এসব কাজ চলছে।

Advertisement

এমইউএইচ/এমআরএম/আরআইপি