‘সাউ হাইব্রিড ভুট্টা-১’ ও ‘সাউ হাইব্রিড ভুট্টা-২’ নামে ভুট্টার দুটি নতুন জাত উদ্ভাবন করেছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি)। গবেষক জানান, এই ভুট্টার জাত দুটি পুরো দেশেই চাষ করা যাবে এবং এর নামকরণও করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামানুসারে। ইতোমধ্যে জাতীয় বীজবোর্ড উদ্ভাবিত বীজ দুটি নিবন্ধন করেছে।
Advertisement
জাত দুটি উদ্ভাবন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব (এগ্রোনমি) বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহেল বাকী। তিনি জানান, দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর গবেষণা করে এ সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। জাত দুটি রবি (সেপ্টেম্বর-জানুয়ারি) ও খরিপ-১ (মার্চ-মে) মৌসুমে চাষ করা যাবে। খরিপ-১ শুধু ‘সাউ হাইব্রিড ভুট্টা-১’র ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
> আরও পড়ুন- যেভাবে সুপারির ফল পচা রোধ করবেন
দেশীয় জাতের চেয়ে খাটো হওয়ায় জাত দুটি প্রবল বাতাসে বা ঝড়ে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। গোড়া থেকে মোচার উচ্চতা ৬০-৮৫ সেমি। ফলে মাটি থেকে দ্রুত মোচায় পানি ও পুষ্টি সরবরাহ করতে সক্ষম। চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর এবং পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জে জাত দুটির ট্রায়াল দেওয়া হয়েছে। রবি মৌসুমে প্রতি বিঘায় গড় ফলন হবে ৪৫-৫০ মণ এবং খরিপ-১ মৌসুমে বিঘাপ্রতি গড় ফলন হবে ২৫-৩৩ মণ।
Advertisement
তিনি আরও জানান, এদের ট্যাসেল খাড়া ও ছড়ানো হয়ে থাকে। এতে বৃষ্টির পানি ট্যাসেলে জমতে পারে না। বীজের গঠন চোখা। ফলে এর র্যাকিসে বেশিসংখ্যক বীজ জন্মায়। এতে কৃষক বেশি লাভবান হবেন।
> আরও পড়ুন- যেভাবে বেগুন গাছে টমেটো চাষ করবেন
আবদুল্লাহেল বাকী জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের দেশে পোল্ট্রি ফিড উৎপাদনের জন্য প্রচুর পরিমাণ ভুট্টা আমদানি করতে হয়। দেশে জাত দুটির উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হলে আমদানি নির্ভরতা অনেকটাই কমে যাবে।’
জাত দুটি নিয়ে স্নাতকোত্তর ও পিএইচ.ডির শিক্ষার্থীরা গবেষণা করবেন। তাদের গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল পর্যালোচনা করে কৃষক পর্যায়ে বীজ সরবরাহ করা হবে বলে জানান তিনি।
Advertisement
এসইউ/এমএস