হতে পারতো জোড়া সেঞ্চুরি। কিন্তু দুর্ভাগ্য জনি বেয়ারেস্টর। ৯৩ রানে গিয়ে আউট হয়ে গেলেন। হার্দিক পান্ডিয়ার বলে উইকেটের পেছনে বাম পাশে জাঁপিয়ে পড়ে দিনেশ কার্তিক অসাধারণ ক্যাচটি না ধরলে কিন্তু সেঞ্চুরিটা পেয়েও যেতে পারতেন বেয়ারেস্ট।
Advertisement
তবুও ৮০ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মাঠে নেমে যে দায়িত্বশীলতার পরিচয় তিনি দিয়েছেন, তা রীতিমত বিরল। লর্ডসে সেঞ্চুরি করার পর যে সম্মান পাওয়া যায়, সেঞ্চুরি থেকে সাত রান কম করেও তার চেয়ে বেশি সম্মান পেলেন জনি বেয়ারেস্ট। রীতিমত স্ট্যান্ডেনোভেশন।
বেয়ারেস্ট সেঞ্চুরি করতে না পেরে ভুল করেছেন; কিন্তু তার মত ভুল করলেন না ক্রিস ওকস। দুর্দান্ত এই অলরাউন্ডার ব্যাট করতে নেমেছেন সাত নম্বরে। বেয়ারেস্টর সঙ্গে দায়িত্বশীল ভূমিকায় ছিলেন তিনি আরও বেশি। বেয়ারেস্টর সঙ্গে ১৮৯ রানের বিশাল জুটি গড়াই নয় শুধু। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটাও তুলে নিয়েছেন তিনি মারকুটে ব্যাটিং করে। ১২৯ বলে ১৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে তিন অংকের ঘরে পৌঁছান তিনি।
জনি বেয়ারেস্ট আর ক্রিস ওকসের বীরোচিত ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে ইংল্যান্ডও চলে গেছে সফরকারী ভারতের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। ৬ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৩৫৭ রান। প্রথম ইনিংসে তাদের লিড দাঁড়ালো বরাবর আড়াইশ (২৫০) রানের।
Advertisement
১২০ রান নিয়ে এখনও ব্যাট করছেন ক্রিস ওকস। সব মিলিয়ে তিনি বাউন্ডারি মেরেছেন ১৮টি। জনি বেয়ারেস্টর ব্যাট থেকে বাউন্ডারি এসেছে ১২টি। ওকসের সঙ্গে ২২ রান নিয়ে উইকেটে রয়েছেন স্যাম কুরান। তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে মোহাম্মদ শামি, ইশান্ত শর্মা কিংবা হার্দিক পান্ডিয়ারা পারেনি ওকস-কুরান জুটিতে ভাঙন ধরাতে।
টস হেরে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ইংলিশ পেসারদের তোপের মুখে মাত্র ১০৭ রানে অল আউট হয়ে যায় ভারত।
আইএইচএস/জেডএ
Advertisement