লাইফস্টাইল

ফেসবুকে প্রেম কতটা নিরাপদ?

প্রেম আসে মুগ্ধতা, ভালোলাগার হাত ধরে। হুট করেই হয়তো কাউকে ভালোলেগে গেল, সেখান থেকে ধীরে ধীরে তা প্রেমে গড়ায়। রূপ, গুণ দেখেই তো জন্ম ভালোলাগার। এখনকার সময়ে নিজেকে প্রকাশের বড় একটি মাধ্যম হলো ফেসবুক। আর এই ফেসবুকেই হয়তো সম্পূর্ণ অচেনা একজনকে দেখে বা তার গুণের কথা জেনে ভালো লেগে যায়।

Advertisement

আরও পড়ুন : মেয়েদের মন পেতে কী করবেন? 

প্রথমে হাই-হ্যালো থেকে শুরু, সেখান থেকেই হয়তো ভবিষ্যতের এক ভালোবাসার জন্ম। এখনকার মতো যখন ফোন, ইন্টারনেট ছিল না তখনও কিন্তু চিঠির মাধ্যমে প্রেম কিংবা বন্ধুত্ব হতো। তাই বন্ধুত্ব, প্রেম বিয়ের জন্য এসব উপলক্ষ মাত্র। সম্পর্কগুলো যদি সুন্দর থাকে তবে তা দোষের কিছু নয়। কিন্তু সেইসঙ্গে থেকে যায় কিছু আশঙ্কাও।

ফেসবুকে ফেইক আইডির ছড়াছড়ি। ছেলেরা মেয়ের নাম দিয়ে কিংবা মেয়েরা ছেলের নাম দিয়ে তো আইডি ব্যবহার করেই, আবার ছদ্মনাম বা ভুলভাল নাম, ঠিকানা দিয়েও অনেকে একাউন্ট খোলে। তাই ফেসবুকে কাউকে দেখেই ভালোলেগে গেলে তখনই তাকে প্রেমের কথা বলতে যাবেন না যেন!

Advertisement

ফেসবুকে কাউকে ভালোলাগলে বা কেউ ভালোলাগার কথা জানালে প্রথমে তার বিষয়ে খোঁজ নিন। তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা কর্মক্ষেত্রের ঠিকানা দেয়া থাকলে সেখানে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। যদি কোনোভাবেই খোঁজ নেয়া সম্ভব না হয় তবে সে পথে পা না বাড়ানোই উত্তম।

ফেসবুক থেকে সবচেয়ে বড় বিপদে পড়ছে মেয়েরা। মাঝেমাঝেই পত্রিকায় এমন শিরোনাম দেখা যায় যে ফেসবুকে প্রেম, সেখান থেকে প্রেমিকের কথায় ঘর ছেড়ে ধর্ষণ কিংবা খুনের শিকার! প্রেমিক যতই বলুক, কোনো অবস্থাতেই ঘর ছাড়া ঠিক নয়।

চ্যাটিং কিংবা ফোনালাপে সংযতভাবে কথা বলা উচিৎ। নয়তো পরবর্তীতে তাই দিয়েই আপনাকে ব্লাকমেইল করা হতে পারে।

প্রেমিক চাইলেও একান্ত কোনো ছবি দেয়া উচিৎ নয়। তাতে বিপদে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন : যে ধরনের প্রেমিক থেকে দূরে থাকবেন

সম্পর্কের ভিত্তি হলো বিশ্বাস। তাই প্রেমের সম্পর্কে তার সঙ্গেই জড়ান, যাকে বিশ্বাস করা যায়। আর এই বিশ্বাস যে কাউকে করতে যাবেন না। মনে রাখবেন, সবচেয়ে দামী বস্তু হলো বিশ্বাস। যা সবার কাছ থেকে আশা করা বোকামী।

এইচএন/আরআইপি