দেশজুড়ে

শত টন রেশম উৎপাদনের টার্গেট

রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী রেশম উৎপাদন এখন প্রায় শূন্যের কোঠায়। রেশম কারখানায় চলছে পরীক্ষামুলক ৫টি লুম। তারপরও পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে শত টন রেশম উৎপাদনের। আগামী ২০২১ সালের মধ্যেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর কথা জানিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

Advertisement

কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী শুক্রবার অন্যান্যদের সঙ্গে রেশম কারখানা পরিদর্শন করেন। তারা পরীক্ষামূলক রেশম উৎপাদন ঘুরে দেখেন।

নিজেদের উৎপাদিত সূতা দিয়ে কারখানায় খাঁটি রেশম কাপড়, গরদের কাপড় ও সুপার বলাকা উৎপাদন হচ্ছে কারখানায়। এ কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে কমিটি।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, রেশম শিল্পের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এর সুষ্ঠু সমন্বয়, পরিকল্পনা ও তদারকি প্রয়োজন। রেশম বোর্ড এবং রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট একত্রে হলেও সমন্বয়ের জন্য দ্রুত সাংগঠনিক কাঠামো অনুমোদন হওয়া প্রয়োজন।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, পাট ও রেশমের সমন্বয়ে নতুন কোনো পণ্য তৈরি করা যায় কি-না সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের গবেষণা করতে হবে। সরকারের ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নের জন্য তুঁতপাতা ও রেশম কীট আরও উন্নত করতে হবে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে রেশম বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফজলে হোসেন বাদশা, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এনামুর রহমান, সাবিনা আক্তার তুহিন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইসমাইল, তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

১৯৬১ সালে রাজশাহী নগরীর শিরোইল এলাকায় সাড়ে ১৫ বিঘা জমির ওপর স্থাপিত হয় রাজশাহীর রেশম কারখানা। এক কোটি ১৩ লাখ টাকার ঋণ মাথায় নিয়ে ২০০২ সালের ৩০ নভেম্ব বন্ধ হয়ে যায় কারখানাটি। ওই সময় কারখানাার ৩০০ শ্রমিক পুরোপুরি বেকার হয়ে যান।

এরপর চলতি বছরের গত ২৭ জুলাই পাঁচটি লুম চালু হয় কারখানার। বন্ধের সময় কারখানায় ছিল ৬৩টি লুম। তবে ৩৫ লুমে চলতো উৎপাদন। নতুন ২৮ লুম চালুর আগেই বন্ধ হয়ে যায় কারখানা। বন্ধের আগে কারখানায় রেশম কাপড় উৎপাদন ছিল বছরে এক লাখ ৬ হাজার মিটার। সবক’টি লুম চালু হলে বছরে কাপড় উৎপাদন হবে দুই লাখ ৮৭ হাজার মিটার।

Advertisement

ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএআর/পিআর