জাতীয়

৩০ বছর পর রূপপুরের টাকা ফেরত নেবে রাশিয়া

রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তিকৃত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের টাকা সম্পূর্ণ নির্মাণ হবার ৩০ বছর পর রাশিয়া ৯০ ভাগ অনুদানের টাকা ফেরত নেবে বলে মন্তব্য করেছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

Advertisement

তিনি বলেন, রূপপুর প্রজেক্টের ক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে প্রথমে চুক্তি হয়েছিল যে, রাশিয়া দেবে ৮০ ভাগ এবং বাংলাদেশ দেবে ২০ ভাগ। কিন্তু পরে রাশিয়া আমাদের আগ্রহ দেখে তা ৯০-১০ ভাগে চুক্তি করেছে। এই সুযোগটা আমরা হাত ছাড়া করতে পারি না। শুক্রবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্যোগে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বাঙালি জাতি বীরের জাতি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাঙালিদের কাছে অসাধ্য বলে কিছুই নেই, যা প্রাচীনকাল থেকেই। একটা আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে আমাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, আমরা একটি দরিদ্র জাতি হয়েও কিভাবে রূপপুরের মত প্রজেক্ট হাতে নিলাম। আমি উত্তরে বলেছিলাম আমরা শক্তি না থাকা সত্ত্বেও তৎকালীন শক্তিশালী দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছিলাম। এটা শুনেই সেখানে বলা হয়েছিল, আর কোন প্রশ্ন নেই। আর এটা শুনে সেখানে উপস্থিত পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা অনেক লজ্জা পেয়েছিল, যা আমার কাছে প্রকাশ করেছে।

তিনি আরও বলেন, রূপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রজেক্ট এদেশের একটি বিশাল অর্জন। সাধারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে এখন প্রশ্ন আসে যে কোনো উপজেলায় প্রথম ২০ তলা ভবন নির্মিত হয়েছে? সেটা রূপপুরেই। এই প্রকল্পটি অন্য যে কোনো প্রকল্প থেকে আলাদা। এটা দেশের মান বাড়ানো ছাড়াও শ্রমের মূল্যও বাড়িয়ে দেবে। স্যাটেলাইট আমাদের মর্যাদা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। পদ্মা সেতু করার আগে আমাদের অনেক অপমান করা হয়েছিল। কিন্তু এখন জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে এসে এসব কাজের সুনাম করে যায়।

Advertisement

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পারমাণবিক প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান এবং আইইবি’র মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান ড. প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম।

আইইবি’র প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুরের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন, আইইবির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ, বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আলী জুলকারনাইন, ড. প্রকৌশলী মো. মঞ্জুরুল হক, আইইবি’র মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সম্পাদক আহসান বিন বাশার (রিপন), একই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী আবদুর রাশিদ সরকার প্রমুখ।

এফএইচএস/জেএইচ/পিআর

Advertisement