খেলাধুলা

ব্রাজিলের জার্সিতে নেইমারের আট বছর

অপার সম্ভাবনা ও অফুরান প্রতিভা নিয়ে ২০১০ সালের আগস্ট মাসের ১০ তারিখে প্রথমবারের মতো ব্রাজিলের জার্সি গায়ে জড়িয়েছিলেন নেইমার দস সিলভা সান্তোস জুনিয়র। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সেদিনের প্রীতি ম্যাচেই এক গোল করে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

সেই ম্যাচের কেটে গেছে ঠিক ৮ বছর। এই আট বছরে আরো ৮৯ বার ব্রাজিলের জার্সি গায়ে খেলতে নেমেছেন নেইমার। মোট এই ৯০ ম্যাচে নিজেকে কিংবদন্তীদের কাতারে তুলে ফেলেছেন ২৬ বছর বয়সী এই ফুটবলার।

নিজের অভিষেক ম্যাচেই এক গোল করা নেইমার তার আট বছরের ক্যারিয়ারে ৯০ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন মোট ৫৭টি। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তিনবার হ্যাটট্রিক করতে পেরেছেন তিনি।

ক্যারিয়ারের তিনটি হ্যাটট্রিকের মধ্যে জাপানের বিপক্ষে ২০১৪ সালের এক ম্যাচে একাই ৪ গোল করেছিলেন নেইমার। অন্য দুই হ্যাটট্রিক করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা ও চিনের বিপক্ষে।

Advertisement

ব্রাজিলের জার্সি গায়ে তার চেয়ে বেশি গোল রয়েছে শুধুমাত্র দুইজন খেলোয়াড়ের। ৭৭ গোল নিয়ে ব্রাজিলের সর্বকালের সেরা গোলস্কোরারের তালিকায় সবার উপরে ব্রাজিলের ইতিহাসের সেরা ফুটবলার পেলে। ৬২ গোল নিয়ে দ্বিতীয়তে রয়েছেন রোনালদো দ্য লিমা। যেভাবে এগুচ্ছেন নেইমার তাতে করে দুজনের রেকর্ডই যে একসময় দখল করে নিবেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

শুধু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সই নয়, দলগত সাফল্যেও উজ্জ্বল নেইমারের আট বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। ক্যারিয়ারের মাত্র তৃতীয় বর্ষেই পেয়ে যান মর্যাদাপূর্ণ দশ নম্বর জার্সি।

এই জার্সির সম্মান অক্ষুণ্ণ রেখে ২০১৩ সালের ব্রাজিলকে কনফেডারেশনস কাপ জেতান নেইমার। টুর্নামেন্টের প্রথম তিন ম্যাচেই গোল করে টানা তিনটি ম্যাচসেরার পুরষ্কার জেতেন তিনি। ফাইনাল ম্যাচে একটি এসিস্ট করে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরষ্কারও যায় নেইমারের হাতে।

পরে ২০১৬ সালের অলিম্পিক গেমসে ব্রাজিলকে প্রথমবারের মতো স্বর্ণপদক জেতান নেইমার। এই টুর্নামেন্টে অধিনায়কের দায়িত্ব নিয়ে ৪ গোল করেন তিনি। অলিম্পিক শেষেই আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রাজিল জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব পেয়ে যান নেইমার।

Advertisement

২০১৪ সালের আসরে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মঞ্চে নামেন নেইমার। কোয়ার্টার ফাইনালে ইনজুরির শিকার হয়ে মাঠের বাইরে যাওয়ার আগে করেন ৪ গোল। তার দল বাদ পড়ে সেমিফাইনাল থেকে। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপেও নেইমারের পা থেকে আসে ২ গোল। তবে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বাদ পড়ে যাওয়া সুখকর ছিল না রাশিয়া বিশ্বকাপে নেইমারের যাত্রা।

এসএএস/এমএস