আন্তর্জাতিক

ধর্ষণ : যুক্তরাষ্ট্রে বিষাক্ত ইঞ্জেকশনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

৭ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের পর খুনের অপরাধে যুক্তরাষ্ট্রে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার টেনেসে অঙ্গরাজ্যে বিলি রে আইরিক নামে ৫৯ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির মৃত্যদণ্ড কার্যকর করা হয়। অপরাধের ৩২ বছরেরও বেশি সময় পর তিনি দণ্ডিত হলেন।

Advertisement

ওষুধ তৈরির তিন ধরনের উপাদানের সমন্বয়ে তৈরি বিষাক্ত ইঞ্জেকশন প্রয়োগে করে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো। তবে এ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক রয়ে গেছে।

কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, বিলিকে যে ধরনের বিষ প্রয়োগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে তাতে তিনি হয়তো নির্যাতনের মতো ব্যথা অনুভব করেছেন।

বিলির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে যে তিনটি উপাদান ব্যবহার করা হয়েছিল সেগুলো হলো- মিডাজোলাম, ভেকিউরোনিয়াম এবং পটাশিয়াম ক্লোরাইড। এরমধ্যে মিডাজোলামের ব্যবহার করা হয় যাতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সময় দণ্ডিত ব্যক্তির কোনো ব্যথা অনুভব না করেন, ভেকিউরোনিয়াম শরীরকে অবশ করে দেয় আর প্রাণনাশে মূল ভূমিকা রাখে পটাশিয়াম ক্লোরাইড।

Advertisement

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সময় আসামিদের ঠিকভাবে সংজ্ঞাহীন করা হয় কি না তা নিয়ে বেশ কয়েকবার প্রশ্ন উঠেছে। ফলে প্রশ্ন ওঠে মিডাজোলামের কার্যকারিতা নিয়ে।

এ ছাড়া বিলি মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ার কারণেও তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। টেনেসে অঙ্গরাজ্যে একটি বিল পাসের অপেক্ষায় রয়েছে, যাতে বলা হয়েছে মানসিকভাবে গুরুতর অসুস্থ কোনো ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যাবে না।

বিলির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়ার বিষয়ে সোনিয়া সোটোমেয়র নামে যুক্তরাষ্ট্রের একজন বিচারপতি বলেছেন, মিডাজোলাম হয়তো কিছু সময়ের জন্য বিলিকে সংজ্ঞাহীন করেছিল ঠিকই, তবে মৃত্যুর সময় শ্বাসকষ্ট ও যন্ত্রণার কারণে তার জ্ঞান আবার ফিরে আসে হয়তো। তবে ততক্ষণে তার পুরো শরীর একেবারে অবশ। ফলে তিনি কোনোভাবে কাউকেই বোঝাতে পারবেন না যে তার ভয়াবহ কষ্ট হচ্ছে।

সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট।

Advertisement

এনএফ/এমএস