বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ ছাত্রের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুই দিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। অপরদিকে তাদের আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। ঢাকা মহানগর হামিক সত্যব্রত শিকদার জামিন আবেদন নাচক করে তাদের কারাগারে পাঠানোর এই নির্দেশ দেন।
Advertisement
পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা দেয়া ও ভাঙচুরের পৃথক দুই মামলায় এই ২২ ছাত্রের জামিন আবেদন মঙ্গলবার নামঞ্জুর করে দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
সেদিন ২২ ছাত্রকে ঢাকা মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে হাজির করে রাজধানীর বাড্ডা ও ভাটারা থানার পুলিশ। তখন মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাতদিন করে রিমান্ড আবেদন করেছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
এই ২২ শিক্ষার্থী মধ্যে বেসরকারি ইস্ট ওয়েস্ট, নর্থ সাউথ, সাউথইস্ট ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এর মধ্যে বাড্ডা থানার এক মামলায় ১৪ জন, ভাটারা থানা আরেক মামলায় আসামি ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
Advertisement
বাড্ডার মামলায় ১৪ ছাত্র হলেন- রিসালাতুল ফেরদৌস, রেদোয়ান আহমেদ, রাশেদুল ইসলাম, বায়েজিদ, মুশফিকুর রহমান, ইফতেখার আহম্মেদ, রেজা রিফাত আখলাক, এএইচএম খালিদ রেজা, তারিকুল ইসলাম, নূর মোহাম্মাদ, সীমান্ত সরকার, ইকতিদার হোসেন, জাহিদুল হক ও হাসান।
ভাটারা থানার মামলায় ৮ ছাত্র হলেন- আজিজুল করিম, মাসাদ মরতুজা বিন আহাদ, ফয়েজ আহম্মেদ আদনান, সাবের আহম্মেদ, মেহেদী হাসান, শিহাব শাহরিয়ার, সাখাওয়াত হোসেন ও আমিনুল এহসান।
ভাটারা থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক হাসান মাসুদ মঙ্গলবার রিমান্ড আবেদনে বলেছিলেন, আসামিরা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার অ্যাপোলো হাসপাতাল ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় লোহার রড, লোহার পাইপ ও ইট দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে।
অপরদিকে বাড্ডা থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জুলহাস মিয়া বলেছিলেন, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা আফতাবনগর মেইন গেটের রাস্তায় যান চলাচলে বাধা দেয়। লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল দিয়ে রাস্তার গাড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে আসামিরা।
Advertisement
জেএ/জেডএ/জেআইএম