বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে বাংলাদেশে এসেছেন উপমহাদেশের কিংবদন্তী নৃত্যগুরু উদয় শংকরের কন্যা স্বনামধন্য নৃত্যশিল্পী ও স্বনামধন্য অভিনেত্রী শ্রীমতি মমতা শংকর। তাকে নিয়ে আয়োজন করা এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বললেন, নাচের আঙিনায় অনেকগুলো বছর পার করে দিলেও এখনও তিনি শিখছেন। শনিবার দুপুর ১২টায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে প্রীতি সম্মিলনী’র আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমতি মমতা শংকরের জীবন সঙ্গী চন্দ্রদ্বয় ঘোষ, ওয়েষ্ট বেঙ্গল ডান্স গ্রুপ ফেডারেশানের যুগ্মসম্পাদক আদিত্য মিত্র এবং উদয়নের ৩ (তিন) জন শিল্পী দেবষ্মিতা, শ্রেয়া ও শিল্পা। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সাধনার শৈল্পীক পরিচালক লুবনা মরিয়ম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সরকারি সঙ্গীত মহা বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ, নৃত্যশিল্পী লায়লা হাসান, আমানুল হক, গোলাম মোস্তাফা খান, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, মুনমুন আহমেদ, ওয়ার্দা রিহাব ও নিলুফার ওয়াহিদ পাপড়ীসহ অনেকেই। এই প্রীতি সম্মিলনীকে কেন্দ্র করে একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষের সামনে নৃত্যগুরু উদয় শঙ্কর ও বুলবুল চৌধুরীর বিভিন্ন নৃত্যানুষ্ঠানের শতাধিক আলোক চিত্র প্রদর্শিত হয়। শ্রীমতি মমতা শংকর বলেন, ‘নাচের জন্য অনেক দেশে গিয়েছি, অনেক সাফল্য পেয়েছি। তবু মনে হয় এখনও প্রতিনিয়ত শিখার আছে। আমি এখনো আমার বাবা যে কাজ করেছেন তা স্মরণ করি এবং আমি মনে করি এখনো আমি শিখছি। আমার মা বলতেন তুই অনেক ভালো কাজ করো তার পরেও তোর বাবার মত হয়না। তাই আমি আমার বাবাকে স্মরণ করে কাজ করে যাব।’বাংলাদেশে আসার বিষয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লাকী ভাইসহ আপনারা আমাকে যে সম্মান দেখালেন আমি তা সারা জীবনে ভুলবোনা। আমি মনে করি পুরো পৃথিবীটা যদি এমন হত যে কোথাও যেতে কোন পাসপোর্ট বা ভিসা লাগবেনা তা হলে ভালো হত।’প্রসঙ্গত, মমতা শংকর ভারতের স্বনামধন্য নৃত্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদয়নের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এলএ/আরআইপি
Advertisement