১৫ বছর ধরে এক তরুণীকে গুহার মধ্যে আটকে রেখেছিলেন এক ওঝা। ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েশির পুলিশ ২৮ বছর বয়সী ওই নারীকে উদ্ধার করেছেন। উদ্ধার পাওয়া ওই নারী জানিয়েছেন, গ্রামের এক ওঝা বছরের পর বছর তাকে গুহায় আটকে রেখেছিল।
Advertisement
৮৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি মাত্র ১৩ বছর বয়সে কিশোরী অবস্থায় মেয়েটিকে অপহরণ করেছিল। আধ্যাত্মিক ক্ষমতা এবং নিজের সাথে জ্বীন আছে এমন কথা বলে নারীটির ব্রেইন ওয়াশ করেছিল ওই ভণ্ড ওঝা।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আটকে রাখা ওই নারীকে যৌন হয়রানি করা হয়েছে বলেও ওই ওঝার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। ভণ্ড ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি এবং শিশু সুরক্ষা আইনের আওতায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে ওই ব্যক্তির নাম জ্যাগো। সবাই তাকে বৈদ্য চিকিৎসক হিসেবে চেনেন। তিনি ব্ল্যাক ম্যাজিক করে থাকেন।
Advertisement
পুলিশ জানিয়েছে, ২০০৩ সালে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে তার পরিবার চিকিৎসার জন্য ওই ওঝার কাছে নিয়ে গিয়েছিল। চিকিৎসার নাম করে লোকটি শিশুটিকে তার কাছে রেখে দেয়। সেবছরই ওই কিশোরী নিখোঁজ হয়। ওই ওঝার কাছে মেয়েটির পরিবার তার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান যে, সে কাজের উদ্দেশে জাকার্তায় চলে গেছে।
কয়েক বছর ধরেই তাদের পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজে বের করা চেষ্টা করেন। কিন্তু তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। একটি প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পুলিশ রোববার কেন্দ্রীয় সুলাওয়েশির গালুমপাং এলাকায় যায়। সেখানে তারা একটি গুহার পাথরের পেছনে একটি ছোট্ট জায়গার মধ্যে ওই নারীকে দেখতে পায়।
ওঝার বাড়ি থেকে কাছেই ওই নারীকে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। পুলিশ ওই গুহার বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছে। সেখানে ওই নারীটি যেখানে ছিল সেখানে সামান্য কিছু প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র দেখা গেছে।
তোলিতোলি শহরের পলিশ প্রধান এম ইকবাল আলকুদুসী বলেন, মেয়েটির বয়স যখন মাত্র ১৩ বছর তখন থেকেই ওই লোকটি মেয়েটিকে ধর্ষণ করে আসছে। সে তার সঙ্গে জ্বীন আছে বলেও মেয়েটিকে ভয় দেখিয়েছে।
Advertisement
ওই নারী জানিয়েছেন, রাতের বেলা জোর করে লোকটি তার বাড়ি নিয়ে যেত আর দিনের বেলা ছোট্ট কারাগারের মতো গুহায় রেখে দিত।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, জ্বীন সব কিছু দেখছে এমন ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে ব্রেইন ওয়াশ করা হয়েছে এবং সে যেন পালিয়ে না যায় এবং লোকজনের সঙ্গে দেখা না করে সেজন্য ভয় দেখানো হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে ভণ্ড ওই ব্যক্তির ১৫ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
টিটিএন/এমএস