গরম-ঠান্ডায় হঠাৎ করেই সর্দি-কাশি হতে পারে। এ আর এমন কী- ভেবে আমরা খুব একটা পাত্তা দেই না। কিন্তু এই অবস্থা দীর্ঘমেয়াদি হলে তখনই সমস্যায় পড়তে হয়। বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট, সঙ্গে জ্বরও হতে পারে। এই বুকের কফ বা শ্লেষ্মা দূর করার রয়েছে ঘরোয়া কিছু উপায়। প্রথম অবস্থায়ই তা মেনে চললে নিস্তার মিলবে সহজেই। চলুন জেনে নেই-
Advertisement
আরও পড়ুন: পিরিয়ড অনিয়মিত হলে যা খাবেন
অ্যাপল সাইডার ভিনেগার ও মধুর মিশ্রণ এই সময় খুব উপকারী। হালকা গরম পানিতে দুই চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনেগারের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে দিনে বার দুয়েক খান। বুকে শ্লেষ্মার সমস্যা কমবে।
তুলসি পাতা, বাসক পাতা ও তালমিছরি দিয়ে পানি ফোটান। সেই ফোটানো পানিতে আদার রস মেশান। প্রতিদিন এক কাপ করে এই মিশ্রণ গরম গরম খান। ঠান্ডা লাগার প্রবণতা কমাবে এই মিশ্রণ। বুকে শ্লেষ্মা বসে থাকলে তা থেকেও দ্রুত নিষ্কৃতি মিলবে।
Advertisement
গরম পানিতে সামান্য লবণ দিন। এবার মাথায় তোয়ালে চাপা দিয়ে, বড় করে শ্বাস নিয়ে, গরম পানির ভাপ নিন। এভাবে অন্তত ১০ মিনিট করে দিনে ২ বার করুন, উপকার পাবেন। এরপর পরেই চলন্ত ফ্যানের নিচে চলে আসবেন না। তাতে হিতে বিপরীত হয়।
আরও পড়ুন: স্ট্রোক এড়াতে যা করবেন
শ্লেষ্মায় খুব উপকারী হলুদ। এর অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান শ্বাসনালীর পথ পরিষ্কার করে। প্রতিদিন সকালে কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খেলেও ঠান্ডা লাগার হাত থেকে বাঁচা যায়। একগ্লাস গরম পানিতে সামান্য হলুদগুঁড়া মিশিয়ে খান। ভালো ফল পেতে দুধে অল্প হলুদ দিয়ে ফোটান। সঙ্গে খানিকটা মধু দিন। দিনে অন্তত তিনবার এই মিশ্রণ খান। মধুর মধ্যেও জীবাণুনাশক নানা উপাদান থাকে। গলা ভেঙে গেলে বা বুকে শ্লেষ্মা থাকলে এই মিশ্রণ খেলে উপকার পাবেন।
এইচএন/পিআর
Advertisement