দেশজুড়ে

পদ্মার ভাঙন দেখতে গিয়ে নিখোঁজ ৬

শরীয়তপুরে পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ভিটেমাটি ও স্থাপনা। নদীভাঙন দেখতে নড়িয়া উপজেলায় গিয়ে ছয়জন নিখোঁজ হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।

Advertisement

আহতদের নড়িয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে উপজেলার সাধুর বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজদের মধ্যে অন্তু মগদম, গোপী, মোশারফ চোকদার, নাসির হাওলাদার, মজু ছৈয়াল, নাসির করাতির নাম পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা বলছেন ছয়জনের বেশি নিখোঁজ রয়েছেন।

উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পদ্মা নদীর ডানতীর দীর্ঘদিন ধরে ভাঙছে। সেই ভাঙন দেখতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোক এসে জড়ো হয় সাধুর বাজারে।

Advertisement

প্রতিদিনের মতো আজও নদীভাঙন দেখতে জড়ো হয় অর্ধশতাধিক লোকজন। বিকেল পৌনে ৩টার দিকে নদীর পাড় ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা নদীগর্ভে চলে যায়। এ সময় তিনটি দোকানসহ অন্তত ছয়জন নিখোঁজ হয়। সেই সঙ্গে নদীতে পড়ে আহত হন আরও ২০ জন। যারা নিখোঁজ রয়েছেন তাদের উদ্ধারে পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিস কাজ করছেন।

নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, যারা নিখোঁজ রয়েছেন তাদের উদ্ধারে পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে। ছয়জন ছাড়া আর কেউ নিখোঁজ আছে কিনা তার খোঁজ নেয়া হচ্ছে।

নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা ইয়াসমিন জাগো নিউজকে বলেন, ভূমিধসের মতো বিস্তীর্ণ এলাকা হঠাৎ পদ্মা নদীগর্ভে চলে যায়। এ সময় ছয়জন নিখোঁজ ও প্রায় ২০ জন আহত হয়। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। যারা নিখোঁজ ও আহত হয়েছেন তাদের পাশে উপজেলা প্রশাসন থাকবে।

দুর্ঘটনার শিকার সাধুরবাজার এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আব্দুল হাই বক্স বলেন, দুপুরে হঠাৎ দোকান ঘরটি কেঁপে ওঠে। মুহূর্তেই তিনটি দোকানঘরসহ লোকজন পানিতে তলিয়ে যায়। পরে লোকজন পানির ওপরে ভেসে উঠলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। দুর্ঘটনার সময় সেখানে প্রায় ৪০ জনের মতো লোক ছিল।

Advertisement

মো. ছগির হোসেন/এএম/আরআইপি