খালি চোখে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। বল করতে কোনই সমস্যা নেই। ৬ আগস্ট ফ্লোরিডায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে স্পিনার সাকিব বোলিং করেছেন পুরো চার ওভার। বোলিংয়ের সময় তাকে এতটুকু অস্বস্তিবোধ করতে দেখা যায়নি। কিন্তু ভেতরের খবর, সাকিবের বাঁ হাতের কনিষ্ঠা আঙুলে সুপ্ত ইনজুরি আছে এবং সম্ভবত সেই ইনজুরি সারাতে তাকে অপারেশনের টেবিলে যেতে হবে।
Advertisement
কয়েক মাস আগে হঠাৎ করেই সাকিবের বাঁ হাতের কনিষ্ঠা আঙুলে সমস্যা দেখা দেয়। প্রাথমিকভাবে অস্ট্রেলিয়ান বিশেষজ্ঞর শরণাপন্ন হন সাকিব। অস্ট্রেলিয়া গিয়ে এক অজি হ্যান্ড স্পেশালিস্ট দেখানো হয়। তিনি ওই ব্যথা রোধে ইনজেকশন নেয়ার কথা বলেন। সাকিব সেই মতো ইনজেকশন নেন। কিন্তু মাঝেমধ্যে সে ব্যথা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠে।
সাম্প্রতিক সময়েও বাংলাদেশ অধিনায়ক মাঝেমাঝে ব্যথা অনুভব করেন। সে কারণেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী সাকিবের সঙ্গে কথা বলে তাকে আমেরিকান বিশেষজ্ঞ দেখানোর পরামর্শ দেন। সেই অনুযায়ী সাকিব ফ্লোরিডায় এসে এক হ্যান্ড স্পেশালিস্টকে দেখান। তিনিও তাকে ইনজেকশন নেয়ার পরামর্শই দিয়েছেন।
আজ দুপুরে এ বিষয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক ডাক্তার দেবাশীষ চৌধুরী। তিনি জানান, 'আগের মতোই যুক্তরাষ্ট্রের হ্যান্ড স্পেশালিস্টও সাকিবকে ব্যথা রোধে ইনজেকশন নেয়ার কথা বলেছেন। তবে এই ইনজেকশন সাময়িক ব্যথা কমিয়ে রাখবে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞ সাকিবকে জানিয়েছেন, দীর্ঘ মেয়াদে এ ব্যথার কার্যকর চিকিৎসা হচ্ছে অস্ত্রোপচার। দীর্ঘ মেয়াদে অস্ত্রোপচার ছাড়া এ ব্যথা পুরোপুরি সারবে না।'
Advertisement
ডাক্তার দেবাশীষ আরও জানান, 'অপারেশন করলে সাকিবের সেরে উঠতে অন্তত দেড় থেকে দুই মাস লাগবে। কাজেই ওই সময় তার পক্ষে খেলা সম্ভব হবে না। যেহেতু আগামী মাস থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয় দলের টানা ব্যস্ত সূচি রয়েছে। তাই সাকিব এখন অপারেশন করবেন কি করবেন না, তা নিয়ে ভাবনার অবকাশ আছে। যেহেতু ব্যথা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে, তাই তেমন সমস্যা হচ্ছে না। তবে অপারেশনের প্রয়োজন আছে। সেটা যখনই করা হোক না কেন। আমরা সাকিব দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছি। তার সাথে বসে তারপর ঠিক করব কবে, কখন অপারেশন করা যায়।'
এআরবি/এমএমআর/পিআর