পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত রোববার (৫ আগস্ট) বাসের অগ্রিম টিকিট শুরু হলেও পুরোদমে শুরু হয়েছে আজ মঙ্গলবার (৭ আগস্ট)। সবার আগ্রহ আগামী ২০ আগস্টের টিকিটের দিকে। কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে, চাকরজীবীদের চাপ বেশি ২০ আগস্ট।
Advertisement
সকাল ৬টা থেকে রাজধানীর কল্যাণপুর ও আন্তজেলা বাস টার্মিনাল গাবতলীতে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে ঘরমুখী টিকিট প্রত্যাশী মানুষের ভীড় কমই দেখা গেছে টিকিট কাউন্টারগুলোতে।
২২ আগস্ট ঈদের দির ধরে বেশির ভাগ মানুষ ১৯ ও ২০ তারিখের টিকিট চাইছেন বলে জানিয়েছেন বাস কাউন্টারের কর্মীরা।
মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সরেজমিনে ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।
Advertisement
প্রতি বছরই টিকিট নিয়ে হাহাকার এবং এক রকম ‘যুদ্ধাবস্থা’ থাকে। এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে সে রকম চিত্র দেখা যাচ্ছে না। যদিও অধিকাংশ যাত্রীর অভিযোগ, কাঙ্ক্ষিত রুটে কাঙ্ক্ষিত তারিখের টিকিট মিলছে না। এসি বাসের টিকিট চাইলেও মিলছে না।
মুগ্ধ নামে বগুড়ার এক যাত্রী জানান, ৩ ঘণ্টা কল্যাণপুরের শ্যামলী কাউন্টারে দাঁড়িয়ে থাকতেই শুনতে পাচ্ছিলাম ২০ তারিখের টিকিটের হাহাকার। ১৮ তারিখের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। ২০ তারিখের টিকিট মিললেও তা বাসের পেছনে। বাধ্য হয়ে ১৯ তারিখের টিকিট কেটেছেন তিনি।
তবে শ্যামলী কাউন্টারের ম্যানেজার আলমগীর হোসেন জানান, এবার শ্যামলী পরিবহনের টিকিট বিক্রি হচ্ছে কল্যাণপুর, শ্যামলী ও আসাদগেইট কাউন্টার থেকে। সব রুটের সব দিনের পর্যাপ্ত টিকিট রয়েছে শ্যামলী পরিবহনে। কাউকে ফেরত দেয়া হচ্ছে না। তবে ২০ আগস্টের টিকিটের চাহিদা বেশি।
গাবতলী হানিফ এন্টারপ্রাইজের জেনারেল ম্যানেজার মোশাররফ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, চাকরজীবীরা ২০ তারিখ রাতের টিকিট চাচ্ছেন বেশি। সবাই যদি একই তারিখের টিকিট চান তবে তা পূরণ করা কঠিন। আমরা চেষ্টা করছি সবাইকে টিকিট দেয়ার।
Advertisement
হানিফের কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতা বাবু মিয়া জানান, আমাদের কাছে সব দিনেরই টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। ২০ তারিখের টিকিটের সঙ্কট থাকলেও ঈদের আগের দিন ২১ তারিখের টিকিটের চাহিদা কম।
এসআর ট্রাভেলস এর ম্যানেজার মো. আমিন নবী জানান, টিকিটের দাম বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধারিত। যারা বগুড়ার টিকিট পাচ্ছেন না কিংবা ভালো মানের টিকিট চাচ্ছেন তাদেরকে একই রুটের অন্য জেলার টিকিট দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, এবার কাউন্টারে চাপ কম। অনলাইনেই বেশি টিকিট বিক্রি হচ্ছে। সীমিত সংখ্যক বাসের কারণে এবারও ঈদ সেবায় বেশি টিকিট বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না।
গাইবান্ধা রুটের বাস আল হামরার ম্যানেজার দেলওয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, প্রত্যাশিত দিনের টিকিট প্রত্যাশীরা কিনে ফেলেছেন। চাপ বেশি বলে জানান তিনিও।
একই অবস্থা ডিপজল, নাবিল, টিআর ট্রাভেলস, দেশ ট্রাভেলস, ন্যাশনাল ট্রাভেলস, শাহজাদপুর ও পাবনা এক্সপ্রেসে।
জেইউ/এমবিআর/পিআর