হাজরে আসওয়াদ বা কালো পাথর। যা পবিত্র কাবা শরিফের দক্ষিণ-পূর্ব কোনায় প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্বহস্তে স্থাপন করেছেন। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাবা শরিফের কোনায় এ পাথর স্থাপন করে তাতে চুম্বন করেন।
Advertisement
হজ ও ওমরা পালনকারীদের জন্য হাজরে আসওয়াদ আল্লাহ তাআলার অনন্য নির্দশন। আল্লাহ তাআলা এ পাথরের কোনো থেকে তাওয়াফ করাকে বিধিবদ্ধ করে দিয়েছেন। এ পাথরের দিকে ইশারা করে সম্ভব হলে চুম্বন বা স্পর্শ করে তাওয়াফ শুরু করতে হয়।
মুসলিম উম্মাহর জন্য এ পাথরটিকে চুম্বন করা সুন্নাত। আর তাওয়াফকালে এ পাথরটিকে চুম্বন বা স্পর্শ সম্ভব না হলে এর দিকে ইশারা করে তাওয়াফ শুরু করাও সুন্নাত। হাদিসে পাকে এ পাথরে চুম্বনের ফজিলত বর্ণায় এসেছে-
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাজরে আসওয়াদ সম্পর্কে বলেছেন- ‘আল্লাহর কসম! নিশ্চিত আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের দিন এটাকে এমনভাবে ওঠাবেন যে, তখন-- এটার (হাজরে আসওয়াদের) দুইটি চোখ হবে; যা দিয়ে দেখবে।- এর (হাজরে আসওয়াদের) একটি জিহ্বা হবে; যা দিয়ে কথা বলবে।আর যে ব্যক্তি ঈমানের (প্রিয়নবির ভালোবাসায় একনিষ্ঠতার) সঙ্গে এটাকে চুম্বন করেছে, তার পক্ষে এটা (হাজরে আসওয়াদ) সাক্ষ্য দেবে। (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, দারেমি)
Advertisement
আরও পড়ুন > ইহরাম অবস্থায় যে ভুলে হাজিদের কাফফারা দিতে হবে
হজ ও ওমরা পালনকারীদের জন্য হাজরে আসওয়াদ চুম্বন এক মহা আকর্ষণের নাম। আল্লাহ তাআলা যাকে তাওফিক দেন তিনিই এ পাথর চুম্বনে সমর্থ হন।
কথিত আছে, ‘এ পাথরে চুম্বনের বরকতে আল্লাহ তাআলা মানুষকে গোনাহ থেকে মুক্ত করেন। সুতরাং হজ ও ওমরা পালনকারীদের উচিত অন্যকে কষ্ট না দিয়ে সতর্কতার সঙ্গে হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব হজ ও ওমরাপালনকারীকে গোনাহ মাফের নিয়তে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুকরণে হাজরে আসওয়াদ চুম্বন এবং স্পর্শ করার তাওফিক দান করুন। কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা অনন্য নির্দশন হাজরে আসওয়াদের সাক্ষ্য লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
Advertisement
এমএমএস/জেআইএম