ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। ব্যাটিং পরিসংখ্যানটাও বেশ স্বাস্থ্যবান বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের। তার সাথে তুলনায় ব্যাটিং বিবেচনায় অনেক এগিয়ে থাকবেন ভারতের বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
Advertisement
কিন্তু যখন প্রশ্ন আসবে অধিনায়কত্বের তখন নিজ দেশের সেরা অধিনায়কের তালিকায় বেশ নিচের দিকেই জায়গা হবে কোহলির নাম। তাই ব্যাটসম্যান হিসেবে কোহলির প্রতি কোন অনুযোগ না থাকলেও, ‘অধিনায়ক’ কোহলির প্রতি পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত এজবাস্টন টেস্টে ব্যাটসম্যান কোহলি ছাড়িয়ে গেছেন দুই দলের বাকি ২১ খেলোয়াড়কে। নিজ দলের দুই ইনিংসে করা ৪৩৬ রানের মধ্যে কোহলি একাই করেছেন ২০০ (১৪৯ ও ৫১) রান। কিন্তু জেতাতে পারেননি দলকে। বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়কত্বে ব্যাট হাতে রান করার পাশাপাশি দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক জো রুট।
এখানেই অসন্তোষ বাংলার ‘দাদা’ খ্যাত ক্রিকেটার গাঙ্গুলির। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে তিনি প্রকাশ করেছেন অধিনায়ক কোহলির ব্যাপারে নিজের মনের কথা। জানিয়েছেন নিজের ভাবনার কথা।
Advertisement
সেখানে তিনি লিখেন, ‘আপনি যখন অধিনায়কের দায়িত্বে থাকেন তখন প্রতিটি জয়ের জন্য যেমন সাধুবাদ পাবেন, তেমনি প্রতিটি হারের জন্য সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হবেন। কোহলির সমালোচনায় আমি বলবো যে তার উচিত ব্যাটসম্যানদের উপর ভরসা করা এবং দল থেকে বাদ দেয়ার আগে তাদের রানে ফিরতে কিছু সময় দেয়া।’
তিনি আরও লিখেন, ‘অধিনায়কের কাজই হলো দলের বাকিদের আত্মবিশ্বাস যোগানো। এটা তার দল এবং শুধু সে-ই পারে এই দলের মানসিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে। তার উচিৎ দলের সবার সাথে বসা এবং সবাইকে বলা যে সাফল্যের জন্য আসলে কি করা উচিৎ।’
এসময় খানিক ব্যর্থতাতেই দল থেকে পরীক্ষিত পারফরমারদের বাদ দেয়ার কঠোর সমালোচনা করেন গাঙ্গুলি। তিনি লিখেন, ‘কোহলির উচিৎ দলের ব্যাটসম্যানদের সাহস দেয়া এবং তাদের বলা যে ভয়-ডরহীন ব্যাটিং করো। এটা সত্যি যে বারবার যদি একাদশে পরিবর্তন আনা হয় এবং খেলোয়াড় অদল-বদল করা হয় তাহলে খেলোয়াড়দের মধ্যে একটা ভয় ঢুকে যায়। তাদের মনে হয় যে টিম ম্যানেজম্যান্ট তাদের উপরে ভরসা করতে পারছে না।’
অতীতে ভারতের সফল দলগুলোর উদাহরণ টেনে গাঙ্গুলি লিখেন, ‘অতীতের সেরা দলগুলোর দিকে যদি তাকান, তাহলে দেখবেন সেটা অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা ২০০৭ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ জেতা ভারতই হোক না কেন; সে দলের সবাই দুই ফরম্যাটেই (ওয়ানডে ও টেস্ট) খেলতো। ফলে তারা জানতো যে ১-২ ম্যাচ খারাপ খেললেও পরের ম্যাচে রানে ফেরার সুযোগ পাবে। কিন্তু ভারতের বর্তমান দলে কোহলি ব্যতীত আর কেউই সব ফরম্যাটে নিয়মিত নয়। ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের বন্যা বইয়ে জাতীয় দলে ফেরার পরামর্শ সবসময় কার্যকরী নয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মঞ্চটাই ভিন্ন।’
Advertisement
এসএএস/জেআইএম