ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে শুরুতেই ছিল ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। সেই সিরিজে স্বাগতিক ক্যারিবীয়দের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশ। বিশেষ করে ক্যারিবীয় পেসারদের খেলতেই পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ফলে একটিতে ইনিংস পরাজয় এবং অন্যটিতেও বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে।
Advertisement
তবে টেস্ট সিরিজের পরই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজে মাশরাফির নেতৃত্বে ভিন্ন চেহারার বাংলাদেশকে দেখে ক্যারিবীয়রা। ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি বাংলাদেশ জিতে নেয় ২-১ ব্যবধানে। প্রথম এবং শেষটি জিতেছিল টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচটিও জিততে পারতো। শেষ মুহূর্তে ব্যাটসম্যানদের ভুলে হারতে হয়েছিল মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে।
ওয়ানডে সিরিজের পর এলো টি-টোয়েন্টি সিরিজ। টেস্টের মতো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও বাংলাদেশের অবস্থা তথৈবচ। এই ফরম্যাটেও বাংলাদেশ খুব ভালো খেলতে পারে না- এমন অভিযোগই ছিল সব সময়। তারওপর, ওয়েস্ট ইন্ডিজ আবার টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। এমন একটি দলের মুখোমুখি হয়ে না আবার বাংলাদেশের কী অবস্থা হয়!
প্রথম ম্যাচে হারের পর সেই শঙ্কাটা আরও দীর্ঘায়িত হয়। এমনিতেই জুনে ভারতের দেরাদুনে গিয়ে আফগানিস্তানের মত দেশের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়ে এসেছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে প্রথম ম্যাচ হারের পর আবারও সেই হারের শঙ্কা জেগে ওঠে।
Advertisement
কিন্তু ফ্লোরিডার লডারহিলে এসে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, শেষ দুই ম্যাচ জিতে সিরিজটাও নিজেদের করে নিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। দ্বিতীয় ম্যাচে ১২ রানে জয়ের পর তৃতীয় ম্যাচে এসে ডার্কওয়ার্থ লুইস মেথডে ১৯ রানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ দল। সে সঙ্গে কোনো প্রতিষ্ঠিত শক্তির বিরুদ্ধে দেশের বাইরে প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে সিরিজ সেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে সাকিব আর হাসান কিন্তু ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টির চেয়ে এখন সবচেয়ে বেশি টেস্টের দিকে মনযোগ দেয়ার কথা বলেন। ঘরের মাঠে টেস্ট জিততে শুরু করলেও, বিদেশের মাটিতেও নিজেদের প্রমাণ করার দিকে জোর দেন তিনি।
পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে গিয়ে সাকিব আল হাসান বলেন, ‘ওয়ানডেতে গত তিন-চার বছর আমরা ভালো খেলছি। বিশেষ করে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে। এই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ও নিশ্চিত আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দেবে। টি-টোয়েন্টিতে আমরা ভবিষ্যতে আরো অনেক ভালো করতে পারবো এখন থেকে।’
টেস্টের দিকে নজর ফেরাতে গিয়ে সাকিব আল হাসান বলেন, ‘আমাদেরকে এখন টেস্ট ক্রিকেট নিয়েই বেশি কাজ করতে হবে। ঘরের মাঠে সত্যিই আমরা ভালো টেস্ট খেলছি। এখন আমাদের প্রয়োজন ঘরের বাইরে ভালো টেস্ট খেলার এবং জয়ের অভ্যাস গড়ে তোলার।’
Advertisement
আইএইচএস/এমএস