বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষ বয়সের শ্মশ্রুমণ্ডিত ছবিই সবার কাছে পরিচিত। তাঁর বিশাল কেশরাশি শরতের কাশফুলকে স্মরণ করিয়ে দেয়। রবীন্দ্রনাথ মানেই বড় বড় চুল-দাড়ির সুফি টাইপের একজন মানুষ। পরনে আলখাল্লা। জমিদারির ভাবসাব অবয়বে। সাহিত্যপ্রেমী মানুষের ঘরে ঘরে বৃদ্ধ রবীন্দ্রনাথের এই ছবিই বেশি শোভা পায়। তবে আজ রবীন্দ্রনাথের ব্যতিক্রমী কিছু ছবি নিয়ে হাজির হবো।
Advertisement
রবীন্দ্রনাথের বৃদ্ধ বয়সের ছবিটি হয়তো একদিনেই তৈরি হয়নি। এই বৃদ্ধ রবীন্দ্রনাথ একদিন জন্ম নিয়েছিলেন। তিনি কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন। জন্মের আগে থেকেই তাঁদের পারিবারিক ঐতিহ্য সবার জানা ছিলো। জন্মের পরই না তিনি শৈশব, কৈশোর, যৌবন পেরিয়ে বৃদ্ধ বয়সে উপনীত হয়েছেন।
> আরও পড়ুন- তাজউদ্দীন আহমদ : মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম রূপকার
তবে জন্মের পর পরই হয়তো তাঁর পরিবার জানতো না যে, রবীন্দ্রনাথ জগতজোড়া খ্যাতি অর্জন করবেন। বর্তমানে যেমন প্রযুক্তির কল্যাণে ভূমিষ্ঠ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নবজাতকের ছবি তুলে ফেসবুকে দেওয়া যায়। তখন এমন ব্যবস্থা থাকলে রবীন্দ্রনাথের ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরের ছবি আমরা দেখতে পেতাম। দেখতে না পেলেও বুঝে নিতে পারি, কেমন ছিল তার ছোটবেলার ছবি।
Advertisement
সে যা-ই হোক, তারপরও রবীন্দ্রনাথের কৈশোর এবং যৌবনের কিছু ছবি আমরা দেখতে পাই। কিন্তু সে ছবিতে শেষ বয়সের রবীন্দ্রনাথের বেশ-ভূষার সঙ্গে তেমন মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। পাওয়া যায় না এমন চুল-দাড়িও। শৈশবেই রবীন্দ্রনাথের মধ্যে কবিসত্ত্বা জাগ্রত হলেও মুখাবয়বে তখনো পরিবর্তন আসেনি। অন্য সব কিশোরের মতোই তাঁর চাল-চলন।
> আরও পড়ুন- নিয়মিত ব্লগিং করেন ১০৫ বছরের বৃদ্ধা!
হঠাৎ করে রবীন্দ্রনাথের এমন ছবি চোখের সামনে এলে একটু হোচট খেতে হয়। মনে হয়, এ আমি কাকে দেখলাম? আমাদের মানস পটে তাঁর একটি ছবিই যেন খোদাই করা রয়েছে। তবে রবীন্দ্রনাথের সব ছবিতেই আভিজাত্য ফুটে ওঠে। জমিদার ঠাকুর পরিবারের ইতিহাস-ঐতিহ্য প্রতীয়মান হয়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পারিবারিক অ্যালবামে থাকা ছবির ধারাবাহিকতায় মনে হয়, তিনি ধীরে ধীরে পরিণতির দিকেই এগিয়ে যাচ্ছেন। এই ছেলেটিই একদিন জয় করেছিল বিশ্বের তাবৎ মানুষের ভালোবাসা ও সম্মান। শুধু কবি থেকে হয়ে উঠলেন বিশ্বকবি। ঠাকুর বাড়ির রবীন্দ্রনাথ হয়ে উঠলেন সবার রবীন্দ্রনাথ।
Advertisement
এসইউ/জেআইএম