পাল্লেকেলে ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমেই জয়ের মূল কাজটি করে ফেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। রিজা হেন্ডরিক্সের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি, জেপি ডুমিনির ৭০ বলে ৯২ এবং হাশিম আমলার ৫৯ রানের ওপর ভর করে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ছিল ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৬৩ রান।
Advertisement
বিশাল রানের নিচে চাপা পড়ে এমনিতেই স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার পিলে চমকে যাওয়ার কথা। সেটাই হয়েছে শেষ পর্যন্ত। কারণ জবাব দিতে নেমে একমাত্র ধনঞ্জয়া ডি সিলভাই দাঁড়াতে পেরেছিলেন প্রোটিয়া বোলারদের সামনে। একাই লড়াই করলেন তিনি। ৬৬ বলে তিনি খেলেছিলেন ৮৪ রানের ইনিংস। এছাড়া বাকিরা ছিলেন শুধু আসা-যাওয়ার মিছিলে।
ধনঞ্জয়া ডি সিলভার ব্যাটে কিন্তু অনেকদুর গিয়েছিল স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত ৪৫.২ ওভারে ২৮৫ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ২৮ বল বাকি থাকতেই অলআউট হলো তারা। উইকেট হাতে থাকলে হয়তো আরও কাছাকাছি যেতে পারতো প্রোটিয়াদের। যে কারণে শেষ পর্যন্ত ৭৮ রানে হারতে হলো শ্রীলঙ্কাকে। সে সঙ্গে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২ ম্যাচ হাতে রেখেই জিতে নিলো সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচও জিতেছিল প্রোটিয়ারা।
মূলতঃ দুই প্রোটিয়া পেসার লুঙ্গি এনগিডি এবং আন্দিল পেহলুকাইয়োর বোলিং তোপেই উড়ে যায় লঙ্কানরা। ৫৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিদি। আন্দিল পেহলুকাইয়ো ৭৪ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। তাবরিজ শামসি নেন ২ উইকেট এবং ১ উইকেট নেন মালডার।
Advertisement
৩৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উপুল থারাঙ্গা এবং নিরোশান ডিকভেলা যথাক্রমে ১৯ এবং ১০ রান করে ফিরে যান। কুশল পেরেরা করেন ২৭ রান। কুশল মেন্ডিস করেন ৩১ রান। থিসারা পেরেরা করেন মাত্র ১৬ রান। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ আউট হন ৩২ রান করে। আকিলা ধনঞ্জয়ায় করেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান। সুরঙ্গা লাকমাল করেন ১২ রান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে অভিষেকেই রিজা হেন্ডরিক্স উপহার দেন অনবদ্য সেঞ্চুরির। ৮৯ বলে ১০২ রান করে আউট হন তিনি। ৭০ বলে ৯২ রান করেন জেপি ডুমিনি এবং ৫৯ বলে ৫৯ রান করে আউট হন হাশিম আমলা। যে কারণে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৬৩ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। থিসারা পেরেরা নেন ৪ উইকেট। ২ উইকেট নেন লাহিরু কুমারা।
আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement