দেশজুড়ে

ঈশ্বরদীতে বন্দুকযুদ্ধে যুবদল কর্মী গুলিবিদ্ধ

ঈশ্বরদীতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে যুবদল কর্মী মাহামুদুল হাসান ওরফে সোনামণি (৩১) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় পুলিশের এএসআইসহ ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। শুক্রবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।সোনামণি ঈশ্বরদী পিয়ারাখালি এলাকার মরহুম আব্দুস সামাদ গার্ডের ছেলে এবং ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুর ছোট ভাই।ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিমান কুমার দাস জানান, চাঞ্চল্যকর হাসপাতালের নাইট গার্ড আলম হত্যা, গুম, চাঁদাবাজি ও নাশকতাসহ ১৮টি মামলার আসামি এবং এলাকার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী সোনামণিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলার আমিনপুর থানা এলাকা থেকে আটক করা হয়। আটকের পর তাকে থানায় এনে জিঞ্জাসাবাদ করা হয়। এ সময় তার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র আছে এবং সেটা বের করে দিবে বলে জানায়। অস্ত্র উদ্ধারের জন্য তাকে নিয়ে রাত আড়াইটার দিকে পাকশী হঠাৎপাড়ার নদীর চর এলাকায় অভিযান চলাকালে তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। পুলিশও এ সময় আত্মরক্ষার্থে ৬ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোঁড়ে। এ সময় সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া গুলি সোনামনির ডান পায়ে বিদ্ধ হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পদ্মার চর দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশের এএসআই জুয়েল ও কনস্টেবল মকবুল ও আক্কাস আহত হয়। সন্ত্রসীদের ফেলে যাওয়া একটি বিদেশি বন্দুক ও ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। গুলিবিদ্ধ সোনামণিকে প্রথমে পাবনা সদর হাসপাতালে ও পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে সকালে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সদস্যদের ঈশ্বরদী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয় বলে ওসি জানিয়েছেন। ওসি আরো জানান, পুলিশের উপর আক্রমণ ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এস এম ফজলুর রহমান ও থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েশ সুমন জানান, সোনামণির দলের বা অঙ্গ সংগঠনের  কোনো পদ নেই। সে যুবদলের একজন কর্মী।আলাউদ্দিন আহমেদ/এসএস/এমআরআই

Advertisement