পেয়ারা দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনই এই ফলটির রয়েছে অনেক উপকারিতা। এর ভিটামিন সি, লাইকোপেন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের প্রতিটি অংশকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রতিদিন একটি করে পেয়ারা খেলে শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না।
Advertisement
আরও পড়ুন: বাড়িতে ৬ মাস পর্যন্ত আম সংরক্ষণ করবেন যেভাবে
পেয়ারায় উপস্থিত অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট শরীরে প্রবেশ করা মাত্র ক্ষতিকর জীবাণুদের মারতে শুরু করে। ফলে সব ধরনের সংক্রমণের আশঙ্কা কমে যায়। সেইসঙ্গে শরীরে উপস্থিত সব ধরনের বিষাক্ত উপাদানও বেরিয়ে যায়।
প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন এ থাকার কারণে নিয়মিত পেয়ারা খেলে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে। সেইসঙ্গে ছানি, ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের মতো রোগও দূরে থাকে।
Advertisement
পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে এতটা মজবুত করে তোলে যে ছোট-বড় কোনো ধরনের রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।
পেয়ারায় উপস্থিত ভিটামিন বি৩ এবং বি৬ মস্তিষ্কে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্রেনের কগনেটিভ ফাংশন, অর্থাৎ স্মৃতিশক্তি, বুদ্ধি এবং মনোযোগের উন্নতি ঘটে।
পেয়ারায় উপস্থিত লাইকোপেন, কুয়েরসেটিন, ভিটামিন সি এবং পলিফেনল শরীরে জমতে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে ক্যান্সার সেল জন্ম নেয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যায়।
পেয়ারায় রয়েছে অধিকমাত্রায় ফাইবার। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রকোপ কমাতে প্রতিদিন একটি করে পেয়ারা খান। কষ্ট একেবারে কমে যাবে।
Advertisement
আরও পড়ুন: শুধু কলা নয়, খোসাও খান
পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।পেয়ারা খেলে ব্লাড সুগার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে না। তাই ডায়াবেটিক রোগীরা নিশ্চিন্তে এই ফলটি খেতে পারেন।
এইচএন/আরআইপি