নওগাঁর অধিকাংশ মাঠেই এখন দেখা মিলছে কাঁচা মরিচের আবাদ। এ বছর জেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে কাঁচা মরিচের আবাদ করা হয়েছে। স্বল্প সময়ে অধিক লাভ পাওয়ায় মরিচের আবাদ করছেন কৃষকরা। তবে আবহাওয়া ভালো থাকলে ফলন ভালো পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
Advertisement
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় এক হাজার ৩২৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের মরিচের আবাদ করা হয়েছে। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ১৬৫ হেক্টর, মান্দায় ৪৩০ হেক্টর, মহাদেবপুরে ২৮০ হেক্টর, বদলগাছীতে ২৫০ হেক্টর, পত্নীতলায় ৮৫ হেক্টর, ধামইরহাটে ৩৫ হেক্টর, সাপাহারে ২৫ হেক্টর, নিয়ামতপুরে ২৫ হেক্টর, আত্রাইয়ে ১৫ হেক্টর, পোরশায় ১০ হেক্টর ও রাণীনগরে ৫ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ করা হয়েছে।
কৃষকরা সাধারণত আকাশা, বগুড়া ও কারেন জাত নামক মরিচের আবাদ করে থাকেন। চৈত্র মাসে বীজ রোপণ শুরু হয়। রোপণের ৩ মাস পর থেকে উৎপাদনে আসে এবং পরবর্তী ৩ মাস মরিচ পাওয়া যায়। ধান চাষের তুলনায় সেঁচ, সার ও কিটনাশক খুবই কম লাগে এ মরিচ চাষে। শুকনা মরিচের চেয়ে কাঁচা মরিচ বিক্রিতে লাভ বেশি থাকে এবং পরিশ্রমও কম হয়। স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা। আর এখান থেকে উৎপাদিত মরিচ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
জেলার বদলগাছী উপজেলার কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, তিন কাঠা জমিতে আকাশা জাতের মরিচের আবাদ করেছেন তিনি। এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় তিন হাজার টাকা। প্রতি সপ্তাহে দুইবার করে মরিচ ওঠান। এ পর্যন্ত প্রায় ৫-৬ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করেছেন। আরো দুই মাস পর্যন্ত মরিচ ওঠাবেন। তবে আবহাওয়া ভালো থাকলে আরো ভালো ফলন আশা করছেন তিনি।
Advertisement
নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মনোজিত কুমার মল্লিক বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে ও রোগ বালাই না থাকায় এবার ফলনও হয়েছে বেশ। তবে অনাবৃষ্টির কারণে একটু সমস্যা হলেও পরবর্তীতে বৃষ্টির কারণে ঠিক হয়ে গেছে। স্বল্প সময়ে আবাদ ও ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকদের আগ্রহ বেশি থাকে।
আব্বাস আলী/এফএ/এমএস