'আমরা এখানে এসে প্রতিটি রুম চেক করেছি, ছাদ পর্যন্ত। আগে যা বলা হয়েছে সব গুজব।' শনিবার রাতে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দাঁড়িয়ে এ কথা বলেন তেজগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহাবুবুর রহমান খান আশিক। তার সঙ্গে আন্দোলনরত আরও দুই শিক্ষার্থী ছিল।
Advertisement
আশিক বলছিল, আমরা এখানে এসে দেখেছি, এখানে আমাদের কোনো ভাই নেই, বোন নেই। রেপের (ধর্ষণ) বিষয়টি ভিত্তিহীন, গুজব ছিল।
ওই শিক্ষার্থী বলে, আমরা এলিফ্যান্ট রোডে বিকেল পাঁচটায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলাম। হঠাৎ করে কয়েকজন এসে আমাদের ওপর হামলা করলো। পরে এক বড় ভাই এসে আমাদের বললো পার্টি অফিসে আমাদের চার বোনকে রেপ করা হয়েছে, এটা শোনার পর প্রত্যেক ছেলে-মেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। তারা সেভ করবে, তুলে নিয়ে রেপ করবে কেন?
'একপর্যায়ে ওখানে ভাইয়া (ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন) আসেন, আমরা তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম ঘটনা কী হয়েছিল। পরে আমাদের একটা পক্ষ এসে পাল্টা ধাওয়া দিয়েছিল। একজন ভাইয়া এসে আমাদের বোঝালো তোমরা পার্টি অফিসে এসে দেখে যাও। পরে আমরা এখানে এসেছি।'
Advertisement
'আমরা আসার সময় ওরা আমাদের বলেছিল, তোমরা যে ওখানে যাবা তোমাদের সেফটি কী? তখন আমরা বলি আপনারা আছেন। হয়তো তাদের কোনো বামপন্থী উসকে দিয়েছে, এখানে নিয়ে এসেছে।'
আন্দোলন থামানো সম্পর্কে স্পষ্ট না করে আরেক শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলে, আমাদের দাবিগুলো মেনে নিচ্ছে। এই প্রতিনিধি দলে আব্দুল্লাহ আল সায়েম নামেরও এক শিক্ষার্থী ছিল। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, আমি যখন পার্টি অফিসে আসছিলাম তখন সিটি কলেজের সামনে তারা আমার কাছে বিষয়টি জানতে চায়। আমি তাদের বলেছি, এর পুরোটাই প্রপাগান্ডা। তোমরা আমার সঙ্গে চলো, ঘুরে দেখে আসবা। আমি তাদের বলেছি, ঘুরে দেখে আসলে তোমরা আন্দোলন থামাবা? তারা বলেছে আন্দোলন থামাবে। এখন তারা দেখেছে। তারা সিদ্ধান্ত নেবে।
এর আগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ওই কার্যালয় পরিদর্শন করে। অপরদিকে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয় পরিদর্শন শেষে ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের একজন শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের বলে, তারা সকাল থেকে প্ল্যাকার্ড-ব্যানার নিয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে অবস্থান করছিল। বিকেলের দিকে কিছু লোক হঠাৎ করে বলেন যে, ধানমন্ডিতে আন্দোলনকারী ‘দুজন শিক্ষার্থী নিহত’ হয়েছে। পরে তারা পুলিশের সহায়তায় আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয় পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পায়নি। শিক্ষার্থী ‘নিহত’ হওয়ার তথ্যটি ভুল, এটি একটি গুজব ছিল।
এইউএ/জেডএ/আরআইপি
Advertisement