জাতীয়

যাত্রাবাড়ীতে পরিবহন শ্রমিকদের বাধায় পিছু হটেছে শিক্ষার্থীরা

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ছাত্রলীগ-আওয়ামী এবং পরিবহন শ্রমিকদের বাধার মুখে পিছু হটেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১টা থেকে উত্তর যাত্রাবাড়ীতে যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে গাড়ির কাগজপত্র ও চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করেন। শৃঙ্খলাভাবে গাড়ি ও পথচারী চলাচলে নির্দেশনা দেন।

Advertisement

তবে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা মোড়ে কোনো শিক্ষার্থী অবস্থান নিতে পারেনি। সেখানে ফ্লাইওভারের নিচে সকাল থেকেই পুলিশের সঙ্গে বিপুল সংখ্যক পরিবহন শ্রমিক অবস্থান নেন।

এর মধ্যে পরিবহন শ্রমিকরা কয়েক দফা কিছুটা এগিয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেন। ফলে কিছুটা পিছু হটে সড়কে অবস্থান করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

বেলা ৩টা ১০ মিনিটের দিকে হঠাৎ করেই স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম অনু লোকজন নিয়ে হাজির হন। এ সময় শিক্ষার্থীরা দ্বিগবিদিক ছুটে পালিয়ে যান। কয়েক জন শিক্ষার্থী ওয়ার্ড কাউন্সিলরের লোকজনের হাতে ধরা পড়েন।

Advertisement

এই অবস্থায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ধরাপড়া শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘তোমাদের সব দাবি মেনে নেয়ার পরও কেন তোমরা এখনও আন্দোলন করছ, গাড়ির কাগজপত্র চেক করছ? তোমরা এটা করিও না। ঘরে ফিরে যাও। আর রাস্তায় এসো না।’ পরে আরও বুঝিয়ে শিক্ষার্থীদের তিনি ছেড়ে দেন।

এর আগে দাবি মেনে নেয়ার পরও কেন আন্দোলন করছেন জানতে চাইলে শেখ বোরহান উদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত বলেন, ‘সড়কে এখনও কোনো শৃঙ্খলা নেই। ২০১২ সালে লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ এমন চালকও গাড়ি চালাচ্ছেন। এটা কীভাবে সম্ভব। সড়কে শৃঙ্খলা না ফেরা পর্যন্ত আমরা রাস্তায় থাকব।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর কয়েক দফা আক্রমণ হয়েছে। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা তো কোনো বিশৃঙ্খলা করছি না। বিশৃঙ্খলা ঠেকানোর চেষ্টা করছি।’

শনিবার একই সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শনির আখড়াতেও শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন। পার্শ্ববর্তী দনিয়া কলেজ ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। শিক্ষার্থীরা চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করে।

Advertisement

লেন মেনে গাড়ি চালাতে, সিটবেল্ট বাঁধতে, মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট পরতে বাধ্য করেন। যাদের হেলমেট নেই তাদের সতর্ক করে দেন। ওভারটেক করা গাড়িগুলোতে রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে শাস্তিও দেন তারা।

আরএমএম/এমআরএম/জেআইএম