রাজধানীর প্রতিটি জোনে জনসংখ্যার ভিত্তিতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশসহ সব সুবিধা নিশ্চিত করে উন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
Advertisement
শনিবার (৪ আগস্ট) বাংলামটরে প্ল্যানার্স টাওয়ায়ে আয়োজিত সেমিনারে বাসযোগ্য শহর গড়তে এ অভিমত জানান বক্তারা।
‘ডেনসিটি জোনিং’ শীর্ষক এই সেমিনার যৌথভাবে আয়োজন করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউশন অব প্ল্যানার্স।
রাজউক সদস্য (প্ল্যানিং) আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও আদিল মাহমুদ খানের সঞ্চালনায় সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) প্রেসিডেন্ট ড. এ কে এম আবুল কাশেম, ড্যাপ প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, স্থপতি ইকবাল হাবিব প্রমুখ।
Advertisement
সেমিনারে অংশ নিয়ে ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম বলেন, রাজধানীতে জনসংখ্যার উপর ভিত্তি করে উন্নয়ন করা হয় না। তাই জনসংখ্যার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করে জোন উন্নয়ন হওয়া উচিত।
সেমিনারের মূল প্রবন্ধে জনসংখ্যার অনুপাতে জোনভিত্তিক উন্নয়নে নানা বিষয় তুলে ধরেন ড. আদিল মোহাম্মদ খান। প্রবন্ধে বিল্ডিং কোড না মেনে ভবন তৈরিসহ রাজধানীর এলাকা ভিত্তিক নানা সমস্যা উঠে আসে।
তিনি বলেন, ডেনসিটি জোনিংয়ের উপর গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি তা নিয়মিত মনিটরিং হওয়া দরকার।
রাজউকের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বলেন, আমাদের এরিয়া প্ল্যানে ডেনসিটি অন্তর্ভুক্ত ছিল না। সবার মতামত নিয়ে এটা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যাতে কোনো ধরনের ভুল না থাকে সেজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
Advertisement
রাজধানী জনংখ্যাপূর্ণ শহর। আমরা চেষ্টা করছি, কোন এলাকায় কত মানুষ আছে তা বিবেচনায় নিয়ে শহর উন্নয়ন করা হবে। যাতে সব সুবিধা নিশ্চিত হয়।
নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, ভবিষৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে জনসংখ্যা অনুপাতে জোনভিত্তিক কাজ করা দরকার।
স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশকে নিয়েই চিন্তা করতে হবে। আগের কি ভুল হয়েছে সেগুলো সামনে আনতে হবে। যাতে নতুন করে ভুল না হয়। পাশাপাশি এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা হওয়া উচিত।
সভাপতির বক্তব্যে রাজউকের সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, ড্যাপ নিয়ে আমাদের অনেক ভুল ছিল। সকলের মতমত নিয়ে এগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি।
এএস/এএইচ/জেআইএম