বেপরোয়া বাসের চাপায় গত ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় টানা সপ্তম দিনের মতো আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে শনিবারও রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে তারা।
Advertisement
মিরপুরের রাস্তা অবরোধ করে করে রেখেছে শিক্ষার্থীরা। এতে অংশ নিয়েছে মিরপুরের আশপাশের বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানে কম্পিত হচ্ছে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচক্কর। এতে কোনো দিক থেকে কোনো ধরনের যানবহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে প্রতিটি মোড়ে মোড়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মিরপুর গোলচক্কর দিয়ে যাতায়াত করা সব রোড ব্লক হয়ে গেছে। ফলে জ্যাম পড়েছে মিরপুর ১২ নম্বর হয়ে কালশী পর্যন্ত ওদিকে কচুক্ষেত, এদিকে মিরপুর ২ ও ১ নম্বর পর্যন্ত। এছাড়া কাজীপাড়া শেওগাপাড়া হয়ে মিরপুরগামী যাত্রীরাও পড়েছেন জ্যামে।
আবির নামে এক যাত্রী বলেন, যাবো ১৪ নম্বরে। প্রশিকা হয়ে ঘুরে আসলাম। তাতেও রক্ষা হলো না। একটু তাড়া আছে, তাই হেটেই যেতে হচ্ছে।
Advertisement
উল্লেখ্য, গত রোববার (২৯ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। একই ঘটনায় আহত হন আরও ১০/১৫ জন শিক্ষার্থী।
জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই দুই শিক্ষার্থী। তারা হলেন শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজিব।
ওই ঘটনায় জাবালে নূরের তিন গাড়ির দুই চালক ও দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১। এর আগে নিহত মিমের বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এমএ/এমবিআর/আরআইপি
Advertisement