হবিগঞ্জে এক ছাত্রের শরীরে এসিড নিক্ষেপ করেছেন শিক্ষক। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ছাত্রকে সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এ ঘটনা ঘটে। পরে দুপুর দেড়টায় অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল কাইয়ুমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
Advertisement
আহত মঈন উদ্দিন হবিগঞ্জ টেকনিকেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের কেমিস্ট শাখার নবম শ্রেণির ছাত্র। সে শহরতলীর বড় বহুলা গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে।
এদিকে এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, সকালে মঈন উদ্দিন ল্যাবে ক্লাস করতে যায়। এ সময় টেবিলে জোরে শব্দ করায় শিক্ষক আব্দুল কাইয়ুম তার শরীরে এসিড ছুড়ে মারেন। তাৎক্ষণিক অন্যান্য ছাত্ররা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
Advertisement
পরে ওই শিক্ষকের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। তারা প্রায় ৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। দুপুর দেড়টায় শিক্ষক আব্দুল কাইয়ুমকে পুলিশ আটক করলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।
এসিডে দগ্ধ মঈনুদ্দিন জানায়, টেবিলে হাত দিয়ে জোরে শব্দ করলে শিক্ষক আব্দুল কাইয়ুম রাগের মাথায় তার শরীরে এসিড ছুড়ে দেন।
সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ দাশ জানান, পিঠের উপর থেকে বেশ কিছু অংশ এসিডে ঝলসে গেছে।
হবিগঞ্জ টেকনিকেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, কেমিস্ট ল্যাবে শনিবার প্র্যাক্টিকেল ক্লাস চলছিল। এ সময় ওই ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক বলছেন পানি মনে করে তিনি ছুড়ে মেরেছিলেন। কিন্তু প্রকৃত অর্থে সেখানে এসিড ছিল। বিষয়টি তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হচ্ছে। দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Advertisement
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মর্জিনা আক্তার বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত। শিক্ষক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। আটক শিক্ষককে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এফএ/পিআর